যশোর চেম্বার অব কমার্সে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মিজানুর রহমান খানের প্যানেল

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্টিজের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিজানুর রহমান খানের প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর ছিল মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন। ওই দিন ১৯টি পদের বিপরীতে ২১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।  ৭ আজ  প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুইজন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না। যেকারণে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল বিজয়ী হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকার কারণে আগামী ৩০ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা লাগছেন।
বিজয়ীরা হলেন হলেন- যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান, শ্যামল দাস, জাহিদ হাসান টুকুন, সাজ্জাদুর রহমান সুজা, তানভিরুল ইসলাম সোহান, গোলাম রেজা দুলু, আবদুল হামিদ চাকলাদার, এজাজ উদ্দিন টিপু, খাইরুল কবির, মঞ্জুর হোসেন মুকুল, মো. নূরুজ্জামান, মোকসেদ আলী, কাসেদুজ্জামান সেলিম, সাজ্জাদুল করিম কাবুল, সাইফুল ইসলাম লিটন, নূর আলম পাটোয়ারি, রেজাউল করিম, শাহজাহান আলী খোকন ও ইসমাইল হোসেন মিলন।
যশোর চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, পতিত স্বৈরাচার সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব ও আদালতে মামলা থাকার কারণে গত এক যুগ ধরে যশোর চেম্বারের নির্বাচন হয়নি। ১০ বছর ধরে প্রশাসক নিয়োগ করে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটির কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল যশোর চেম্বারের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জেলা বিএনপির তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয়ী হয়। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। সেই থেকে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বপালন করছেন একজন প্রশাসক।
এ বিষয়ে যশোরের সহকারী কমিশনার ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনের জন্যে মনোয়ানপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ১৯টি পদের বিপরীতে ২১টি মনোয়ানপত্র জমা পড়েছে। দুইজন প্রার্থী তাদের মনোয়ানপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণে আর ভোটের প্রয়োজন পড়ছেনা। ইতিমধ্যে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।