শার্শায় সাবেক এমপি আফিলসহ আ.লীগের ২০ নেতাকর্মীর নামে হত্যা চেষ্টা মামলা,আটক ৫

0

শার্শা (যশোর) সংবাদদাতা ॥ সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ২০জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বছরের এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ বিএনপির কেন্দ্রীয় অবস্থান কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শার্শা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ উপজেলার কামারবাড়ি মোড়ে উপস্থিত হলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা মামলার আসামিরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করে। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সাবেরুল হক সাবু ও শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। এই অভিযোগে দীর্ঘ ৬ মাস পর গত ২৩ অক্টোবর শার্শা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ওয়াছি উদ্দিন শার্শা থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় এ পর্যন্ত শার্শা থানা পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে মামলার আসামি হলেন আনারুল ইসলাম ও অপর চারজন হলেন স›িদ্ধগ্ন আসামি। এদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে তারা হলেন, উলাশীর সাবেক ইউপি সদস্য সাহেব আলী ও সাইফুল ইসলাম।
এ মামলার আসামিরা হলেন, শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা,আসাদুজ্জামান আসাদ, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান অহিদ, যুবলীগ নেতা শার্শার উত্তর বুরুজবাগান গ্রামের শাহাদৎ হোসেনে দুই ছেলে জাকির হোসেন ও উজ্বল হোসেন, চটকাপোতা গ্রামের ওসমান গনির ছেলে তোতা মিয়া ওরফে চাকমা তোতা, শ্যামলাগাছি গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে তুহিন হোসেন, কাজিরবেড় গ্রামের মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম আনার, শ্যামলাগাছি গ্রামের মৃত রহমত উল্লার দুই ছেলে, রফিকুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম ঝন্টু, নাভারণ রেলবাজার স্টেশনপাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে শার্শা বাস্তহারা লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শার্শা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, শার্শা গ্রামের মতিয়ার কাজীর ছেলে শিল্পি কাজী, শার্শা গ্রামের মৃত আবু তালেবের ছেলে আল আমিন রুবেল,শ্যামলাগাছি গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে রুবেল ড্রাইভার, স্বরুপদাহ গ্রামের বজরে আলীর ছেলে মো. লাল্টু, শার্শা গ্রামের জহুর কাজীর ছেলে মো. রাজন, স্বরুপদাহ গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে তবিবর রহমান তবি। মামলায় উল্লিখিত আসামিরা গত ৫ আগস্টের পর থেকে পালিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির আব্বাস বলেন, শার্শার সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনসহ ২০জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।