দেড় বছরে তিন দফায় ধস মহেশপুরের ৪৮ কি.মি সড়ক

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ও মহেশপুর সংবাদদাতা॥ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর-যাদবপুর-জিন্নানগরে ৪৮ কিলেমিটার সড়কে ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হলেও বারবার ধসে পড়ছে। গত দেড় বছরে তিন দফায় সড়ক সংস্কারের নামে প্রচুর টাকা ব্যয় করা হলেও কোনো কাজে আসেনি। চলতি সপ্তাহের বৃষ্টিতে আবারও ধসে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সড়কে সংস্কার কাজ করা হলেও মান ঠিক না থাকায় মাস না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তবে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের দাবি, দুই বছর আগে নদী খননের সময় তলদেশ থেকে মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে তারা ভাঙন রোধে যেভাবেই চেষ্টা করছে তাতে কোনো কাজে আসছে না। এদিকে মহেশপুর উপজেলার ব্যস্ততম সড়ক এভাবে ভেঙে পড়ে থাকায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ভারী যানবাহন শহরের মধ্য দিয়ে চলাচল করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আসাদুজ্জামান রিপন জানান, মহেশপুর উপজেলার মানুষের চলচলের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি খালিশপুর থেকে কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে মহেশপুর শহর হয়ে দত্তনগর, জিন্নানগর ও যাদবপুর গেছে। আগে সড়কটি খুবই খারাপ ছিল।
২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই সড়কটির সাড়ে ৪৮ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হয়। ২০২৩ সালের শেষ দিকে সড়কটিতে ধস দেখা দেয়। ওই স্থানের ১০২ মিটার জায়গার পিচ-পাথর ধসে গর্তের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভাগ বার বার সংস্কার করছে, কিন্তু বার বারই ধসে পড়ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবীর জানান, সড়কের এই ভাঙন নিয়ে তারাও চিন্তিত। সড়কটি তিন বছর আগে যখন সংস্কার হয়েছিল, তখন কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। পরে কপোতাক্ষ নদ খননের পর এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, খননের সময় ভেতরের মাটি কেটে পাড় বাঁধা হয়। এখানে সেটা করা হয়নি। নদ এর ভেতর থেকে কাটা মাটি সড়কের ওপর রাখা হয়েছিল, ওই মাটি পরে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন তারা শক্ত কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন।