লোহাগড়ায় ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

0

লোহাগড়া (নড়াইল) সংবাদদাতা ॥ দু বছর আগে লোহাগড়ায় ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা আশিষ মৈত্র জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর উপজেলার নারানদিয়া গ্রামে শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস , পল্লব বিশ্বাসসসহ তিন জনের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
শনিবার স্থানীয় জয়পুর পরশমনি মহাশ্মশানঘাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নারানদিয়া, জয়পুর, গোফাডাঙ্গা, চোরখালী ও পুরুলিয়া গ্রামের শতাধিক নারী-পুুরুষ। এ সময় বক্তব্য দেন, নারাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও জয়পুর ইউনিয়নের সদস্য ফনিভূষণ বিশ্বাস, সুবোল চন্দ্র বিশ্বাস, শিক্ষক কৃঞ্চপদ বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০২২ সালের ২৮ অক্টোবর নারানদিয়া গ্রামের শিক্ষক শ্রীপতি বিশ্বাস,পল্লব বিশ্বাসসহ তিন জনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের পোশাক ও সাধারণ পোশাক পরিহিত ৭/৮ জন ডাকাত বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনের হাত-পা বেঁধে আড়াই লাখ টাকা ও ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ একটি দস্যুতা মামলা গ্রহণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ পর্যন্ত লুট হওয়া ১টি মোবাইল ফোন,লুঙ্গি ও পুলিশের পোশাক উদ্ধার করে মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত না করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। বাদী এ ব্যাপারে নারাজি পিটিশন দিলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য যশোর পিবিআইকে তদন্ত করার আদেশ দেন।
বক্তারা আরও বলেন, নারানদিয়া গ্রামের মৃত অধির মৈত্রর ছেলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিষ মৈত্র পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রতিশোধ নিতে পুলিশের ক্ষমতা দেখিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ওই তিন বাড়িতে ডাকাতি করান। তিনি মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে থানা পুলিশকে ব্যবহার করে ডাকাতির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা আশিষ মৈত্রসহ কারা কারা জড়িত তার সঠিক তদন্তের জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য ফনিভূষণ বিশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা,পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা খুলনা খালিশপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিষ মৈত্র ডাকাতির সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে বলেন, গ্রাম্য দ্বন্দ্বের কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
যশোর পিবিআই এর পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে যে অভিযুক্ত হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।