বেনাপোলের পরিবহন ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পালাচ্ছে ভারতে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সব ছাত্র-জনতা হত্যার শিকার হয়েছেন বা প্রশাসনিক কর্মকর্তা যাদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগে মামলার আসামি হয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি পালাচ্ছে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে। আর এদের পালাতে লাখ লাখ টাকা নিয়ে সহযোগিতা করছে সীমান্তের এক শ্রেণির পরিবহন ব্যবসায়ীরা। এদের মধ্যে অন্যতম চেকপোস্ট রয়েল কোচ পরিবহনের ম্যানেজার বড় আঁচড়া গ্রামের মুকুল ।
সীমান্তের তথ্য মতে, এদের হাত ধরে গত এক মাসে বিপুল সংখ্যক অপরাধী চেকপোস্ট পার হয়েছে। এসময় বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে ভারতে। এছাড়া বিভিন্ন পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের অবাধ বিচরণ রয়েছে ইমিগ্রেশনে। তবে সেখানে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা ও বিজিবির সহয়তায় মাঝে মধ্যে দুই একজন ধরা পড়ছে।
সবশেষ গত মঙ্গলবার বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একাধিক মামলা ছিল। সে বিএনপি নেতা,কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে মামলায় হয়রানি করে ফাসিয়ে দিতে সহযোগিতা করতো। তবে কৌশলে ভারতে ঢুকে পড়ে তার আরেক সাথী রয়েল কোচ পরিবহনের মালিক সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু। ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে এদের পারাপারে সহযোগিতা করতে রয়েল কোচ পরিবহনের ম্যানেজার মুকুল
ইমিগ্রেশনে নিয়ে এসেছিল। ঘটনার পর থেকে সে গা ঢাকা দিয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ভারতে পাঠানোতে সহযোগিতার ছবি থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ফারুক মজুমদার জানান, কোনো অপরাধী যাতে ভারতে পালাতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারতে পাঠাতে রয়েল পরিবহনের ম্যানেজার মুকুল ইমিগ্রেশনে নিয়ে এসেছিল। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নিবে পুলিশ। আর কে কে জড়িত সিসি ক্যামেরা দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এসব চক্র অপরাধীদের পালাতে সহযোগিতা করে দেশকে হুমকির মুখে ফেলছে। এরা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম চয়ন জানান, তারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছেন, সীমান্তে প্রভাবশালী কয়েকজন পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সম্প্রতি বিভিন্ন মামলার আসামিদের ভারতে পালাতে সহযোগিতা করছে। আর ওইসব অপরাধী ভারতে ঢুকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। অধরাধীদের ভারতে পালাতে যারা সহযোগিতা করছে এসব পরিবহনের অভিযুক্তদের সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে পরিবহন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা লোকজনের মাধ্যমে যাতে কোনভাবে কেউ ভারতে পালাতে না পারে তার জন্য তারা ভবিষ্যতে আও সোচ্চার থাকবে এবং আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।