কেশবপুরে মৎস্য লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ঘেরের মাছ লুটের অভিযোগ 

0

লোকসমাজ ডেস্ক ।। যশোরের কেশবপুরে সুফলাকাটি ইউনিয়নের বুড়ুলিয়া বিলে একটি মাছের ঘেরের মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু‘পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এনিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা লেগেই আছে। সর্বশেষ গতকাল ১৬ অক্টোবর বুধবার ঘেরের মালিকানা দাবি করে উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম মুনজুর রহমানের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ করেছেন কেশবপুর থানায় ও স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে। ঘেরের অধিকাংশ জমির মালিকরা দু’পক্ষের ডিডেই স্বাক্ষর করায় এ বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে।

জানা গেছে, উপজেলার বুড়ুলিয়া বিলের খৈতলা এলাকায় ১৩০ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের রয়েছে। উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের ঘের মালিক মেজবা উদ্দিন বিগত ৬ বছরের জন্য ডিড করে নেন। ডিড শেষ হওয়ার পর গত ২ বছর আবারও ৬ বছরের জন্যে ঘেরটি তাঁর নামে ডিড করে নেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গতকাল (১৬ অক্টোবর) বুধবার রাতে উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমানের নেতৃত্বে ফয়সাল মোড়ল, আলমগীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মামুন সরদারসহ একদল দুর্বৃত্ত তাঁর মাছের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে পাহারাদার মিঠু শেখকে মারপিট করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দড়াজাল দিয়ে ৭ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৫ মন বাগদা চিংড়ি, ১০০ মন বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ধরে নৌকা যোগে নিয়ে যায়।

এসময় তারা মাছের ঘেরের ৩টি টঙ ঘর, ২টি স্যালো মেশিন, ডিজিটাল মিটার, সৌর প্যানেল, কয়েক ব্যারেল ডিজেল, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় আজ (১৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ঘের মালিক মেজবা উদ্দীন বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা মৎস্য লীগের সভাপতি ও সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মুনজুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজেরা মাছ ধরে আমাদের দোষারোপ করছে। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।

এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,  তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।