মোংলায় সাবেক পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ২০ নেতা-কর্মীর নামে চাঁদাবাজির মামলা গ্রেফতার ৪

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ২০ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা রেকর্ড হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে গত ১৩ জুলাই মামলার বাদী মোংলা পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যব্সায়ী বাবুল শরীফের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে দাবিকৃত এ চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় শহরের শাহাদাতের মোড় এলাকায় আসামিরা বাদীকে মারধর করে টাকা ও গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চাঁদার টাকা পরিশোধ না করলে আসামিরা বাদীকে খুন করার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় গত ৩ অক্টোবর মোংলা থানায় আওয়ামী ও যুবলীগের ২০ জনের নাম ও অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য অপসারণ হওয়া মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র শেখ আব্দুর রহমানকে। অপর আসামিরা হলেন মেয়রের মেয়ের জামাই কিবরিয়া, ভাগ্নে পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ভাগ্নি জামাই ও কৃষক লীগ নেতা শাহজাহান ওরফে বাঘ শাহজাহান, সদ্য অপসারিত জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল শিকদার ওরফে টাইগার জলিল, ৩ নং পৌর কাউন্সিলর বাহাদুর মিয়া, মাখন মিজান, দুলাল হাওলাদার, ফিরোজ তালুকদার, নুর আলম, মো. সোহেল, প্রিন্স লিংক সরকার, মঈনুল হোসেন ওরফে কেরু মিন্টু, মো. তারিক, মিঠু, মো. রেজাউল, মিন্টু শেখ, হুমায়ুন কবির পলাশ, সেলিম মাতুব্বরও মনিরুল ইসলাম। আসামিদের সবাই আওয়ামী ও যুব লীগসহ অঙ্গ দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক।
এদিকে আসামিদের মধ্যে সদ্য অপসারিত পৌর কাউন্সিলর বাহাদুর মিয়া, সেলিম মাতুব্বর, মনিরুল ইসলাম ও হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রভাষ মল্লিক জানান, মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।