কারাগারে বসেই সাম্রাজ্য চালাচ্ছে ফিঙে লিটন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ আত্মগোপনের পর এলাকায় ফিরেই আত্মসমার্পন করেন যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত আনিচুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙে লিটন। তার আত্মসমার্পন থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনা ছিল গোপনীয়। এজলাস, কোর্ট হাজত কোথাও তাকে অপেক্ষা থাকতে হয়নি। চড়তে হয়নি প্রিজম ভ্যান। ভিআইপি মর্যাদায় কালো গ্লাসের মাইক্রো চড়ে আদালত থেকে সরাসারি কারাগারে পৌঁছান। অভিযোগ আছে, এখন কারাগারেও পাচ্ছেন বিশেষ সুবিধা। বাইরের লোকজনের সাথে দেখা সাক্ষাত, থাকা খাওয়া সবকিছু ভিআইপিভাবে চলছে বলে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শি। অবশ্য কারাকর্তৃপক্ষ বলছেন তিনি সাধারণ বন্দীর মতই আছেন।

শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে আনিচুর রহমান লিটন ফিঙে লিটন নামেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পালিয়ে দুবাইয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি গোপনে দেশে ফিরে আসেন। তিনি অস্ত্র আইনের একটি মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সম্প্রতি তিনি ওই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, কারাগারে যাওয়ার পর তাকে স্পেশাল একটি সেলে রাখা হয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের মত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন এমন তথ্য জানিয়েছেন একাধিক সূত্র। মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ফিঙে লিটন এ সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

একাধিক সূত্র বলছে, প্রায় প্রতিদিন বিশেষ ব্যবস্থায় তার সাথে লোকজন দেখা করে। সাক্ষাত প্রার্থীদের বেশিরভাগই সন্ত্রাসী গোছের। তাদের কথাবার্তা হয় গোপনে। স্বজনদের সাথেও সাক্ষাত হয় লিটনের। নির্দিষ্ট একটি সময়ে তার লোকজনকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে। ওই সময় অন্য কোনো বন্দির স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে কারাগারে বসেই তার যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।

এ বিষয়ে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলর মঈনুল হক আল মামুন জানান, এসব অভিযোগ সত্য নয়। অন্য বন্দিদের মতোই লিটনকে কারাগারে রাখা হয়েছে এবং সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছেনা। বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতিদিন তার সাথে লোকজনকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে এটাও সত্য নয়। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিন অন্তর তার সাথে লোকজনকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে।