সভাপতি পদে সমঝোতা নাকি নির্বাচন?

0

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ ফুটবলপাড়ায় চায়ের আড্ডার আলোচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন এবং তাবিথ আউয়াল সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণার পর নানা হিসাবনিকাশ মেলাচ্ছেন সবাই। ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই দুই প্রার্থীকে নিয়ে সমঝোতার প্রক্রিয়াও নাকি শুরু হয়েছে। কিন্তু তরফদার ও তাবিথকে নিয়ে বিএনপির ক্রীড়াসংশ্লিষ্টরা দুই ভাগে বিভক্ত হওয়াতে সভাপতি পদে নির্বাচনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ।

কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে গত নির্বাচন করতে গিয়ে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারায় অভিমানে ফুটবল থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। দেশের ফুটবলে শতকোটির ওপরে বিনিয়োগ করা এ সংগঠক অন্যান্য ফেডারেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হন।

তৃণমূলের ফুটবল নিয়ে কাজ করায় জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছে তরফদারের গ্রহণযোগ্যতা আছে। তাঁর দাবি, অনেকের অনুরোধে বাফুফের ২০২৪ নির্বাচনে সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বাফুফের দু’বারের সাবেক সহসভাপতি তাবিথ আউয়ালের এই পদে নির্বাচন করার ঘোষণার পরই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যান তরফদার। দেশের রাজনৈতিক মেরূকরণ এবং ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার কারণে অনেকেরই ধারণা, অন্যান্য পদে নির্বাচন হলেও সভাপতি পদে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও বিএনপির উচ্চপদস্থ তিন নেতার সমর্থন রয়েছে তরফদারের পক্ষে।

তাবিথের নির্বাচনে লড়াইয়ে নামার পর তরফদারের সঙ্গে বিএনপির একজন নেতা বৈঠকও করেছেন বলে সমকালকে জানিয়েছে একটি সূত্র। শুধু বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যই নন, তাবিথের বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু শীর্ষ ব্যবসায়ীও। একই সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দুই প্রার্থীর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে একটি পক্ষ মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সূত্র। তাবিথ সভাপতি আর তরফদার সিনিয়র সহসভাপতি পদে লড়বেন– এমন খবরও শোনা যাচ্ছে। এর উল্টোটাও বাতাসে ভাসছে। এসবের সত্যতা যাছাই করার জন্য তরফদারকে ফোন দিলে এখনই নির্বাচন নিয়ে কথা বলবেন না বলে জানান। আর তাবিথ আউয়ালও ফোনের ওপাশ থেকে সাড়া দেননি। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সভাপতি পদের প্রার্থিতার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানায় ওই সূত্র।

কাউন্সিলররা অবশ্য চাচ্ছেন সভাপতি পদে নির্বাচন হোক। নিজ জেলায় ফুটবল চর্চা না করলেও অনেক কাউন্সিলরই তাকিয়ে থাকেন চার বছর পরপর হওয়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের দিকে। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে নির্বাচন, সেহেতু ওপর থেকে কোনো চাপ থাকবে না বলেই বিশ্বাস ভোটারদের।

বাফুফে যেমন ডেলিগেটদের নাম চূড়ান্ত করছে, তেমনি প্রার্থীরাও নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন। ফুটবলপাড়ায় রটেছে– নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের প্যানেল থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। সত্যতা জানার জন্য বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। বাফুফেতে যে দু’জনের নির্বাচন না করার জন্য সোচ্চার ছিল ফুটবল সাপোর্টার অ্যালটার্স, তাদের একজন হলেন কিরণ। সালাউদ্দিন তো আগেই নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন।