বৃষ্টিভেজা দিনে স্বস্তির ব্যাটিং

0

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ নেতিবাচক ব্যাটিংয়ের সংজ্ঞাকে সার্থকতা দিতে বোধ হয় নেমেছিলেন জাকির হাসান। ২৪টি বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। তাঁর আউটের সময় দলের রান ছিল ২৪। সাদমান ইসলাম একাই করেছিলেন ২১ রান। অতি রক্ষণাত্মক ব্যাটিং জাকিরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। জাকির ২৪ বল খেলে ‘ডাক’ করলে চাপে পড়ে দল। সঙ্গী হারিয়ে সাদমানও আকাশ দীপের কাছে উইকেট হারান। ২৯ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ে টপঅর্ডারের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। যেটা চিন্তার বিষয় টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য। বিকল্প ওপেনার খুঁজে পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা না গেলে নির্বাচকদের কাজও কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

সাদমানের আউট নিয়ে বিতর্ক আছে। ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবাল প্রশ্ন তোলেন ডিআরএসের শুদ্ধতা নিয়ে। এ নিয়ে আরেক ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কথাকাটিও হয় বাংলাদেশের সাবেক ওপেনারের। আকাশের বলে লাফিয়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন সাদমান। ব্যাট না ছুঁয়ে বল প্যাডে আঘাত করায় জোরালো আবেদন করেন আকাশ। আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলব্রো সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন রোহিত শর্মা। রিপ্লে দেখে মনে হচ্ছিল, বল লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। অথচ ডিআরএস ট্র্যাকিং লাইন লেগ স্টাম্পে বলের আঘাত দেখালে টিভি আম্পায়ার আউট দেন। যদিও এই বিতর্ক বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনি। মুমিনুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে নাজমুল হোসেন শান্ত ঝড় তোলেন। যদিও শট খেলায় মুমিনুল ছিলেন রক্ষণাত্মক। দু’জন বোঝাপড়া করে এগোচ্ছিলেন। প্রথম সেশনটা ভালোভাবে পার করে দিতে সক্ষম হন তারা।

বাংলাদেশ মধ্যাহ্নবিরতিতে গিয়েছিল ২৬ ওভারে দুই উইকেটে ৭২ রান নিয়ে। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হানা না দিলে সেশনটা আরও বড় হতো। ২৮ রানে ভোজ খেতে যাওয়া শান্ত ফিরে জুটি ধরে রাখতে পারেননি। রবিচন্দ্র অশ্বিনের বলের লাইন মিস করে বিপত্তি বাধালেন। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক। ৫৭ বলে ছয় চারে ৩১ রান তাঁর। ৫১ রানের জুটি ১০১ বলে। তিন নম্বরে নামা মুমিনুল দারুণ ছন্দ দেখাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিমের সঙ্গেও। ৩৭ বলে ২৭ রান করে ফেলেছেন দু’জনে। ৮১ বলে ৪০ রানে মুমিনুল আর ১৩ বলে ছয় রানে অপরাজিত মুশফিক। মুষলধারার বৃষ্টির কারণে পরে আর খেলা হয়নি।

বাংলাদেশ দল কানপুরে পৌঁছানোর এক দিন পর থেকে বৃষ্টির উৎপাত লেগে আছে। ম্যাচ শুরুর আগের দিন ঝুমবৃষ্টির কারণে অনুশীলন করা হয়নি শান্তদের। সেদিন রাতভর বৃষ্টি হলে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর খেলা মাঠে গড়ায়। ২৬ ওভারে প্রথম সেশন শেষ করা গেলেও ১টা ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় সেশন শুরু হলেও খেলা হয় মাত্র ৯ ওভার। মোট খেলা হয়েছে ১৬৩ মিনিট। তিন উইকেটে ১০৭ রান বাংলাদেশের। আজ এবং কাল বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। পুরো ওভার খেলা হওয়ার সম্ভাবনা কম। গত রাতেও বৃষ্টি হচ্ছিল।