কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙে পড়লো বেত্রবতী নদীর ৩টি সেতু

0

কেএম আনিছুর রহমান, কলারোয়া(সাতক্ষীরা)॥ কলারোয়ায় পানির তীব্র স্রোতে একই দিনে ভেঙে গেছে বেত্রবতী নদীর উপরের ৩টি সেতু। এতে উপজেলা সদর ও পৌর সদরের সাথে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড ও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমনকি কলারোয়ার সাথে যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলা এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাথেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে নদী পারাপারে হাজার হাজার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র পশুহাট মোড়ের পাশে অবস্থিত বেত্রবতী নদীর ওপরের নির্মাণাধীন পাকা ব্রিজের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা লোহার বেইলি ব্রিজটি ধসে গেছে। কলারোয়া তরকারি বাজার সংলগ্ন বাঁশ-কাঠের সাঁকোটি মাঝখান থেকে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই নদীর ওপর পৌরসভার গোপীনাথপুর গ্রামের তারকনন্দীর কাঠের সেতুটিও পানির তোড়ে প্রায় ভেঙে গিয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় একই সময়ে ওই ৩ সেতু ভেঙে ও ধসে পড়ে।

কলারোয়া উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেত্রবতী নদীর উভয় পাশে ৬টি করে মোট ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। এতে পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের সাথে পশ্চিম পাশের কলারোয়া উপজেলা সদর ও পৌর সদরসহ ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডের যোগাযোগ বহুলাংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ফলে উপজেলার ওই ৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের মানুষ সহজে আর কলারোয়া উপজেলা সদরে আসতে পারছেন না। তেমনি নদীর এপারের ৬ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডের মানুষ ওপারে যেতে পারছেন না। এখন নদী পারাপার ও ওই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ হিসেবে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে পৌরসভার মুরারীকাটি হাইস্কুলের পাশে অবস্থিত পাকা ব্রিজটি ভাল আছে। ওই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে বেশ সময় লাগছে। ঘুরতে হচ্ছে অনেক পথ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কলারোয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন ও কলারোয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শওকত হোসেনকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি সেতু সরেজমিন পরিদর্শন করেন কলারোয়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কান্তি দাশ, সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী এসএম সোহরাওয়ার্দি, পৌরসভার কর নির্ধারক নাজমুল ইসলাম।