ভারতে কেমন আছেন শেখ হাসিনা

0

শান্তনু ইসলাম সুমিত ।। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে সাময়িক অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ফোনালাপ সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। সেই আলাপে আমেরিকা প্রবাসী এক নেতাকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশ দেবার একপর্যায়ে বলেন, তিনি দেশের কাছেই আছেন এবং টুপ করে ঢুকে পড়তে পারেন। এর আগেও তার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছিলো। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার এই বক্তব্য দেশজুড়ে আলোচিত হচ্ছে এই কারণে যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, দিল্লিতে থাকার সময় শেখ হাসিনাকে যেন রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘তিনি চুপ থাকলে মানুষ এটাকে ভুলে যেত। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন, নির্দেশ দিচ্ছেন, যা কেউ পছন্দ করছেন না।’
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ড. ইউনূসের সাথে দেখা করে নিজ নিজ জাতীয় অগ্রাধিকার অনুযায়ী সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই একই বিষয়ে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গত ১০ সেপ্টেম্বর জার্মানির বার্লিনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা স্পষ্টতই এই সরকারের সঙ্গে কাজ করছি।
কিন্তু ভারত যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আসলেই কাজ করতে চায় কি না এটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় বর্তমানে ভারতে তার অবস্থানের বিষয়ে ভারতের বক্তব্য ‘তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, স্বল্প নোটিশে ও তার নিরাপত্তার জন্য এখানে এসেছেন।’ ইতোমধ্যে ভারতে তার অবস্থানের মেয়াদ ১ মাস ছাড়িয়ে গেছে এবং এখন পর্যন্ত ব্রিটেন, আমেরিকা বা ইউরোপের কোনো দেশ তাকে আশ্রয় দিতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ভারতেই যে তাকে আপাতত থাকতে হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত। বিবিসি বাংলা শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে, ডেইলি মিররের খবর অনুযায়ী, শেখ হাসিনাকে সাউথ দিল্লির একটি সরকারি আবাসিকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্র বলছে, হাসিনা বর্তমানে ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) সুরক্ষিত একটি ভবনে থাকছেন যেখানে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও ‘র’ প্রধান নিজে শেখ হাসিনার দেখভাল করছেন এবং ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে প্রায়ই বৈঠক করছেন।