সাবেক এমপি শেখ আফিলের বিরুদ্ধে তিনশ বিঘা জমি জোর করে দখলের অভিযোগ

0

 

কামাল হোসেন, বেনাপোল॥ যশোরের বহুল আলোচিত নানা অপকর্মের হোতা সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এবার প্রায় তিনশ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ক্ষমতার জোরে তিনি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে জোর করে জমি দখল ও লিখে নেন। ভুক্তভোগীরা জানান, তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। যশোরের শার্শা উপজেলা সদরে রয়েছে আফিল জুট উইভিং মিলস লিমিটেড। যার মালিক সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। মোট ১১০ বিঘা জমির ওপরে গড়ে তোলা এই মিলটির প্রায় ৫০ বিঘা জমিই জোর করে দখল করে নেন তিনি।

শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের বাসিন্দা আজিজুর রহমান খান বলেন, আমি একজন কৃষকের সন্তান। এই মিলের মধ্যে আমার সাড়ে চার বিঘা জমি রয়েছে। মিল প্রতিষ্ঠার সময় প্রধান গেটের মুখে থাকা আমার জমি শেখ আফিল উদ্দিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোর করে দখল করে নেন।

চটকাপোতা গ্রামের বাসিন্দা মরহুম আবু বক্করের ছেলে মো. ইকবাল বলেন, সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ১৬৫ শতক জমি (৫ বিঘা) জোর করে দখলে নেন। শুধু আমি একা নই, এখানকার অনেক হিন্দু-মুসলিমের জমিও তিনি জোর করে দখল করেন।এখন দেশে তার সেই ক্ষমতা নেই। আমরা এই এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।

অপরদিকে শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের হরিণাপোতা মৌজায় সাবেক এমপি শেখ আফিলের প্রায় ২২৫ বিঘার একটি ঘের রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৩০ বিঘা জমি রেকর্ডীয় সম্পত্তি। বাকি অংশ জোর করে দখল করা ও নামমাত্র মূল্যে কেনা।

২০১০ সালের ১৫ আগস্ট বিকেলে তার জুট মিলে ডেকে এনে তৎকালীন শার্শা থানার ওসি এনামুল হককে বেদম মারপিট করেন তিনি।পাড়ুইঘুপি গ্রামে আব্দুল হামিদ নামে লক্ষ্মণপুর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যে ১৬জনকে আসামি করা হয় তারা শেখ আফিলের ক্যাডার ছিলেন। সে কারণে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ডেকে এনে ব্যাপক মারধর করেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর নানা অনিয়ম, দুর্নীতি -অপকর্মের দায়ে আদালত ১৮ মন্ত্রী ও ৮ জন সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শার্শা-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়।