চরম বেহাল বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল

0

আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট॥ জনভোগান্তির আরেক নাম বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। দুই দশক ধরে দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাস ব্যবহারকারীরা। জেলার একমাত্র কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরে বেহাল অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর বাস ও যাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় জায়গা সংকটে বাস পার্কিং করা হয় সড়কের পাশে ও খানাখন্দে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত টার্মিনালটি আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাগেরহাট জেলার অভ্যন্তরীণ ৮টি রুটে ৩শতাধিক যাত্রী পরিবহনের বাস-মিনিবাস চলাচল করে। এছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর,বরিশাল-বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন আন্তঃজেলায় প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করছে বাস। অথচ বৃষ্টি হলেই টার্মিনালের ভেতরে ও আশপাশে পানি জমে যায়।কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় টার্মিনালের পুরো এলাকা। ফলে চালক ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
২০০৪ সালে পৌরসভা এলাকার দুই একর জমির ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করে। এবং সেই থেকে পৌরসভা এটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে।পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর বেড়েছে দূরপাল্লার বাস। বৃদ্ধি পেয়েছে যাত্রীর সংখ্যা।তবুও বাড়েনি যাত্রী সেবার মান।অধিকাংশ দূরপাল্লার বাস পার্কিং করা হয় রাস্তার পাশে। অনেক কাউন্টারও টার্মিনালের বাইরে। যাত্রীদের উঠানামা করানো হয় প্রধান সড়ক থেকেই। যাত্রীদের জন্যে নেই বসার ব্যবস্থা। শুধু বর্ষাকালই নয়, সারা বছরই এমন বেহাল দশা থাকে বাস টার্মিনালে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী তানিয়া জামান বলেন, অনেক কষ্ট করে কাদাপানি মাড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়। অনেক সময় পাশ দিয়ে গাড়ি গেলে ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
অটো চালক আরিফ বলেন, বাস থেকে যাত্রী তুলতে টার্মিনালে গেলে অনেক সময় যাত্রীসহ অটোবাইক উল্টে গর্তের মধ্যে পড়তে হয়। যার ফলে অনেক যাত্রী এখন টার্মিনালের মধ্যে প্রবেশ করে না।
বাসের চালক মধু শেখ বলেন, বর্ষার সময় যাত্রীদের কাদাপানির মধ্যে দিয়ে যাতে বাসে উঠতে না হয় তার জন্যে রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করতে হয়।
বাস মালিক জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, বাগেরহাট জেলার একমাত্র কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত কোন সংস্কার করা হয়নি গেল জালিম সরকারের আমলে। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। ভালো কোন যাত্রী ছাউনি নেই।
বাগেরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম রিজভী বলেন,বাস টার্মিনালটি সম্প্রসারণ করার জন্যে আরও ৩ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। খুব দ্রুতই কাজটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বাগেরহাট পৌরসভার প্রশাসক (স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ) ডা. মো. ফখরুল হাসান বলেন, বর্তমানে বাস টার্মিনালটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।