যশোরে কুখ্যাত টিএসআই রফিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে এস এম মোস্তফা কামাল শিপা নামে একজন ঠিকাদারকে অপহরণ এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১২ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে সদর পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন কুখ্যাত টিএসআই রফিকুল ইসলাম রফিক ও কোতয়ালি থানার তৎকালীন এসআই জামাল হোসেনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ঠিকাদার এস এম মোস্তফা কামাল শিপা নিজেই মামলাটি করেছেন। তিনি শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার মৃত এস এম আলী হোসেনের ছেলে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্যে কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী সেজুতি তাজনিন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, কোতয়ালি থানার তৎকালীন কনস্টেবল খাইরুল ইসলাম, আবু জাফর, জাহিদ, মজিবুল ও আব্দুল আলীম এবং যশোর শহরতলীর বিরামপুরের মৃত তারাপদ বিশ্বাসের ছেলে গোবিন্দ বিশ্বাস, মনিরামপুর উপজেলার শমসেরবাগ কাঁঠালতলা এলাকার মৃত এলাহী বক্সের ছেলে আবুল হোসেন, গোলাম হোসেন ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভিটাবল্লা গ্রামের মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে প্রনয় বিশ্বাস।
ঠিকাদার এস এম মোস্তফা কামাল শিপা মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার লাভলী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আসামি গোবিন্দ বিশ্বাস, প্রনয় বিশ্বাস, আবুল হোসেন ও গোলাম হোসেন পুলিশের সোর্স। তারা পুলিশের সহায়তায় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ৬ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উল্লিখিত পুলিশ সদস্যরা চাঁচড়া রায়পাড়ায় তার বাড়িতে আসেন। এ সময় আসামি এসআই জামাল হোসেন তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বিছানার নিচে রাখা ৭২ হাজার টাকা লুট করে নেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে বেলতলা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে আটকে রেখে এস এম মোস্তফা কামাল শিপার মা রিজিয়া বেগমের কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। টাকা না দিলে এস এম মোস্তফা কামাল শিপাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেন তারা। ফলে ছেলের প্রাণ বাঁচাতে ১২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে বেলতলায় গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের সোর্সদের হাতে তুলে দেন রিজিয়া খাতুন। এ সময় তিনি সেখানে ছেলে এস এম মোস্তফা কামাল শিপার হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। টাকা গ্রহণের পর উল্লিখিত আসামিরা ৭ মে ভোরে এস এম মোস্তফা কামাল শিপাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় যশোর রেলস্টেশনে ফেলে রেখে যান।