যশোরে সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফাসহ ৭ জনের নামে মামলা

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদা দাবি, ভাঙচুর, মারধর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। শহরের শংকরপুর মুরগির ফার্মগেট এলাকার মৃত কিনাই চৌধুরীর ছেলে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী হবি চৌধুরী মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী তাজ উদ্দিন আহমাদ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, গোলাম মোস্তফার দুই ভাই গোলাম রসুল ডাবলু ও সিদ্দিক হোসেন, শংকরপুর ইসহাক সড়কের আলমগীর হেসেন পিন্টু ও তার দুই ছেলে জুয়েল, রুবেল ও আছর আলীর ছেলে মামুন ওরফে নায়ক মামুন।
ব্যবসায়ী হবি চৌধুরী মামলায় উল্লেখ করেছেন, উল্লিখিত আসামিরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এলাকায় চাঁদাবাজির সাথে জড়িত ছিলেন। হবি চৌধুরী সুনামের সাথে ব্যবসা করায় তার ওপর নজর পড়ে আসামিদের। এ কারণে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন আসামিরা। তিনি তাদের চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে আসামিরা তার বাড়িতে ঢুকে হবি চৌধুরীর কাছে ফের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি দাবি করেন। এ সময় তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামি গোলাম রসুল ডাবলু পিস্তলের বাট দিয়ে তার কপালে আঘাত করেন। এছাড়া আসামি সিদ্দিক হোসেন লোহার রড দিয়ে তাকে মারধর করেন। তখন হবি চৌধুরীর স্ত্রী স্বামীকে রক্ষার জন্যে এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে হবি চৌধুরী আহত অবস্থায় দৌড়ে মুড়লি এলাকায় চলে যান। এরই মধ্যে আসামিরা হবি চৌধুরীর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর, আলমারি ভেঙে আড়াই লাখ টাকা লুট এবং পেট্রোল ঢেলে রান্নাঘরে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘটনার পর প্রাণভয়ে হবি চৌধুরী নিজ বাড়ি ছেড়ে ঝিকরগাছায় বসবাস করতেন।