রাষ্ট্র মেরামতের এখনই সময়: এম সাখাওয়াত হোসেন

0

 

লোকসমাজ ডেস্ক ।। শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববরেণ্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের সামনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো, ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা ও বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার। চারদিকে সবার মাঝে, বিশেষ করে তরুণদের প্রত্যাশা হলো ‘রাষ্ট্র মেরামত’। এর জন্যই তাঁরা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তরুণ প্রজন্ম ও দেশবাসীরও আকাঙ্ক্ষা যে এই সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মেরামতে পথিকৃৎ হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মেরামত বা সংস্কারের যে প্রয়োজন, তার জন্য ইতিহাস ঘাঁটার প্রয়োজন নেই। হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসন ও স্বৈরাচারী শাসন বর্তমান বিশ্বের আধুনিক রাষ্ট্রে বিরল। শাসক হিসেবে শেখ হাসিনা ভয়াবহ একনায়কতন্ত্রের উদাহরণ হয়ে থাকবেন। তাঁর নাম হিটলার ও মুসোলিনির কাতারে দাঁড় করানো যায়।

এ কারণে রাষ্ট্র সংস্কারের অত্যন্ত জরুরি বিষয়টি হলো ভবিষ্যতে এ ধরনের ফ্যাসিবাদী সরকারের উত্থানের পথরোধ করা। ৫ আগস্টের এমন রক্তাক্ত বিপ্লবের পর আমাদের দেশের যেকোনো সচেতন নাগরিক শাসনের কাঠামো পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবে।  এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন, আগামী দিনে সরকারগুলো যাতে দানবীয় শক্তিতে পরিণত না হয় এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র যাতে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও গণপ্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে তার জন্য সংক্ষেপে  ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টার  রাষ্ট্র সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক নিয়ে আলোকপাত করা হলো।