ভোটের মাধ্যমে গঠন হলো চৌগাছা উপজেলা বিএনপির কমিটি সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলা বিএনপির শীর্ষ চারটি পদের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত নেতারা হলেন সভাপতি পদে, এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান এবং দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আলীবুদ্দিন খান এবং মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। গতকাল শনিবার চৌগাছা পৌর সদরের ডিভাইন সেন্টারে কঠোর নিরাপত্তা, উৎসব এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯ থেকে বিকেলে ৪ টা পর্যন্ত কাউন্সিলররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে ডিভাইন সেন্টারসহ গোটা চৌগাছা উপজেলা সদর বিএনপি কর্মী সমর্থকদের পদচারণায় মুখোরিত হয়ে ওঠে।
শীর্ষ চারটি পদের নির্বাচনে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে এম এ সালাম ৪০৬ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৬২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মাসুদুল হাসান ৪৫১ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনুস আলী দফাদার ৩১৫ পান। দুটি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আলীবুদ্দিন খান ৪৬১ এবং মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ৪০০ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তাদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম ৩২৮ এবং এ বি এম আজিম উদ্দিন ২৭০ ভোট পান। নির্বাচনে ৭৮১ জন ভোটারের মধ্যে ৭৭২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সার্বক্ষণিক ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেন। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। এছাড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম- আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু এবং সিরাজুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
এ দিকে নির্বাচন চলাকালে জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড. মো. ইসহক, গোলাম রেজা দুলু, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম, যশোর নগর বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার শাহীন, আলী হোসেন মদন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরী, প্রেসক্লাব চৌগাছার সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম উজ্জ্বল, রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম হাসান মাহমুদসহ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।
নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন ও আসাদুজ্জামান শাহিন। ভোট গণনা শেষ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদিকে উপজেলা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে হলেও এ নির্বাচনকে ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ। ১৫ বছর ভোট দিতে না পারা বিএনপির দলীয় কাউন্সিলরা উৎসাহের সাথে ভোট দেন, বয়সে প্রবীণ, অসুস্থরাও বাদ পড়েননি। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ এ ভোট দেখে অনেকেই ৯০ দশকের স্মৃতিচারণ করেন। নারী ভোটার আলেয়া বেগম বলেন, অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করছে। বছরের পর বছর ভোট দিতে পারেনি আজ নিজ দলের নেতা নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে মহাখুশি।
অসুস্থ ভোটার উপজেলার বড়খানপুর গ্রামের শফিউদ্দিন বলেন, আমি যে পরিমান অসুস্থ তাতে বিছানায় পড়ে থাকার কথা। তারপরও অনেক বছর পর ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়ে ভ্যান ভাড়া করে দুই জনের সহযোগিতায় এসেছি। ভোটার মীর হোসেন, জিয়াউর রহমান, রিপন হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মনজুরুল আলম বলেন, অসাধারণ এক ভাল লাগার বিষয়, সত্যিকার শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট দেয়ার সুযোগ হয়েছে।