ছাত্রলীগ ক্যাডার জাবেদকে আটক চায় ঝুমঝুমপুরবাসী

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর অনেকের মত গা ঢাকা দিয়েছে একাধিক হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার জাবেদ উদ্দিন। এক মাস আগেও ঝুমঝুমপুরবাসীর কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল জাভেদ। নিজে আত্মগোপনে গেলেও তার অস্ত্রভা-ার রয়েছে সুরক্ষিত। তার সহযোগীদের কারো কারো দেখা মিলছে এলাকায়। এই সন্ত্রাসী চক্রকে আটকের দাবি জানিয়েছেন ঝুমঝুমপুরের শান্তিপ্রিয় মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝুমঝুমপুরের একটি সূত্র জানায়, ঝুমঝুমপুর চান্দের মোড়ের চান কসাইয়ের ছেলে জাবেদ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জাবেদ তার সহযোগীদের হাতে ঝুমঝুমপুরের শান্তিপ্রিয় মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি ছিল। এলাকায় কেউ জমি ক্রয় করলে বা বাড়ি নির্মাণ করলে সন্ত্রাসী জাবেদকে চাঁদা দেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। বাড়ি নির্মাণের উপকরণ ক্রয় করলেও তাকে চাঁদা দিতে হতো। অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার সাথেও রয়েছে জাবেদের সম্পৃক্ততা। তবে তার চাচাতো ভাই সোহেল সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে এলাকায় মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। সন্ত্রাসী জাবেদের রয়েছে অস্ত্রধারী দুই জন দেহরক্ষি। এরা হলেন, চয়ন ও রাজু। তার সহযোগীদের অন্যতম নাসির।
সূত্র আরও জানায়, সন্ত্রাসী জাবেদ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাজী নাইমুল ইসলাম রিয়াদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই কাজী নাইমুল ইসলাম রিয়াদ খুন হয়েছিলেন। ঝুমঝুমপুরের জুটমিল কর্মচারী জুয়েল হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিও জাবেদ। ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর খুন হন জুটমিল কর্মচারী জুয়েল। ২০০৯ সালে নীলগঞ্জের কাওছার আলীর ছেলে সোহাগকে ঝুমঝুমপুরস্থ রাইফেলস স্কুলের পেছনে জবাই করে হত্যা করেছিলো সন্ত্রাসীরা। এই হত্যাকা-ের সাথে সন্ত্রাসী জাবেদ জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নিহত সোহাগের পিতা কাওছার আলীকে ম্যানেজ করে ওই মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাড়িতে বোমা হামলার সাথেও জড়িত ছিলেন সন্ত্রাসী জাবেদ। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিজের বাড়িতে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় প্রতিরোধের জন্য বোমা তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থা বেগতিক দেখে দলবলসহ এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন এই সন্ত্রাসী। সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী জাবেদকে আটক করা গেলে তার কাছ থেকে কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হতে পারে। এছাড়া তার কাছ থেকে বহু অপরাধমূলক কর্মকা-ের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।