ডুমুরিয়ায় যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক দুই

0

ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ ডুমুরিয়ায় যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে আটক করেছে র‌্যাব।
মামলার বিবরণে জানা যায়, এলাকার চিহ্নিত বখাটে যুবকরা মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে জুলেখা খাতুনকে (১৮) উত্ত্যক্ত করত। গত ২ আগস্ট বিকেলে জুলেখা খাতুন কিছু পণ্য কিনতে বাড়ির পাশের দোকানে যায়। এর পরে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। ৬ আগস্ট সকালে পাশের একটি পাট ক্ষেতে ওই যুবতীর লাশ পাওয়া যায়। এ সময় তার পরনের কাপড় খোলা ছিল। ওই সময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে থানায় কোনো পুলিশ না থাকায় পরিবারের সদস্যরা মংনাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেন।
এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর ওই যুবতীর বাবা সুরোত আলী ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে ডুমুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে ভিকটিমকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন বাদী।
আসামিরা হলো, ডুমুরিয়া থানার চুকনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পের শংকর ফকিরের ছেলে রাম (২৫), যশোরের কেশবপুর থানার সন্যাসগাছা গ্রামের আশরাফ ফকিরের ছেলে মিন্টু (২৬), ডুমুরিয়া থানার চুকনগর গ্রামের শহীদ সরদারের ছেলে সবুজ (২২), চাকুন্দিয়া গ্রামের নজরুল গাজীর ছেলে ইমরান গাজী (২২), চুনগরের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে আসাবুর রহমান আশিক (২৫), নরনিয়া গ্রামের শহীদুল মোড়লের ছেলে বাবু মোড়ল (২২) এবং যশোরের কেশবপুর থানার কেদারপুর গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে ইমন সরদার (২২)।
এদের মধ্যে চুকনগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান গাজী ও মিন্টুকে বুধবার রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬। গ্রেফতারের পর বুধবার রাতেই তাদের ডুমুরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হক বলেন, আটক আসামিদের বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।