খাজুরায় সন্ত্রাসী ইছা বাহিনী আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। দলবল নিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে এক ডজন মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইছা। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন থেকেই চলছে চাঁদাবাজি, লুটপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর, দখলদারিত্বসহ এ বাহিনীর নানা অপরাধ। অনেকেই প্রাণ ভয়ে গোপনে ওই সন্ত্রাসীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদার টাকা। সর্বশেষ, ২৫ আগস্ট দিনে-দুপুরে বন্দবিলা ইউনিয়নের খাজুরা বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির ঘটনা ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তেলীধান্যপুড়ার বাসিন্দা মজনুর রহমান আদালতে মামলা করেছেন। সোমবার যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের ওলিয়ার লস্কারের ছেলে শাহাবুদ্দিন (৪০), একই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের নলডাঙ্গা গ্রামের মৃত নিছার আলীর ছেলে ইছা (৫৫), বন্দবিলা ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের মৃত লাল মাহমুদ লস্কারের ছেলে আলাউদ্দিন লস্কার (৪৮) ও আলাউদ্দিনের ছেলে ইক্তার (২৭)।
অভিযোগ রয়েছে, গত দু দিন আগে খাজুরা বাজারে পশুহাট চত্বরে আশা জুয়েলার্সে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী ইছা। সর্বশেষ, এক হাজার টাকা মোটরসাইকেলের তেল ও চা পান খরচ বাবদ নিয়ে গেছে। এখন চাঁদার বাকি টাকা দিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
শুধু বন্দবিলা ইউনিয়নে নয়; সম্প্রতি সন্ত্রাসী ইছা তার দলবল নিয়ে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে রায়পুর ইউনিয়নেও। রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর অধিকারীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট, একই গ্রামের নন্দ সমাদ্দার ও রাজু, দেয়াড়া গ্রামের মোকন্দ, বলাই পাল, বিপুল পাল এবং পাকুড়িয়া গ্রামের মধুসূদনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা করে চাঁদা দাবি, নলডাঙ্গা গ্রামের সুবোল বিশ্বাসের দুটি গরু ও শালবরাট গ্রামের নির্মল দেবনাথের দুটি ছাগলও নিয়ে সন্ত্রাসী ইছা। গত ৩১ আগস্ট তার দলের এক সদস্যকে আজমেহেরপুর গ্রামবাসী গণধোলাই দিয়েছে।
রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম সৌদি সাংবাদিকদের জানান, ইছা সাবেক ইউপি সদস্য। এক সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন অপকর্মকের কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কোনো ছাড় নেই। অপরাধী যেই হোক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।