ফকিরহাট (বাগেরহাট)সংবাদদাতা॥ ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আনিকা সুলতানা নিশি (২০) নামে নার্সিং পড়ুয়া এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
আনিকা সুলতানা নিশি ফকিরহাট উপজেলার জয়পুর গ্রামের শেখ আরিফুল ইসলামের মেয়ে। তিনি খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল আলিম শেখ মৃতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার ভোর রাতে পরিবারেরর লোকজন আনিকা সুলতানা নিশিকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃতের পিতা শেখ আরিফুল ইসলাম জানান, গত এক বছর আগে আনিকা সুলতানা নিশির সাথে খুলনা পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে গাজী তানজিম শাহেদ সামিও ওরফে জোনায়েদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামীর সাথে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হতে থাকে। এরই জের ধরে স্বামীর ওপর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন । এদিকে ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) তাদের বিয়েবার্ষিকী ছিল বলেও জানান তিনি।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।