যশোর -খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার গর্তে ভরা

0

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর)॥ যশোর-খুলনা মহাসড়ক দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের যশোরের নওয়াপাড়ার প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশে বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সীমাহীন দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোনো সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
গর্তে ভরা ৫ কিলোমিটার দূরত্ব পার হতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ। যশোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোরে-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া অংশে রাজঘাট থেকে ভাঙ্গাগেট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমটার জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নওয়াপাড়া বাজারের নূরবাগ এলাকার অবস্থা সব থেকে ভয়াবহ। যে কারণে নূরবাগ এলাকায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। কিছু কিছু গর্ত এত গভীর যার মধ্যে দুই ও তিন চাকার যান উল্টে যেতে পারে।
গুয়াখোলা গ্রামের ট্রাকচালক মোহাম্মদ হাসান বলেন, আমার নিজের ৬টি ট্রাক রয়েছে। একজন চালক হিসেবে নূরবাগ এলাকা পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। ৫ কিলোমিটার সড়ক পার হতে যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে, তেমন ক্ষতি হয় যন্ত্রাংশের। মহাসড়কে বড় বড় গর্ত হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে গাড়ি চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কুষ্টিয়ার গড়াই পরিবহনের চালক সিকেন্দার খন্দকার বলেন, দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক বার বার সংস্কার করার পরও বেহাল অবস্থা। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ইন্ধনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছে। আত্মসাত করেছে কোটি কোটি টাকা। যে কারণে সড়কের বেহাল অবস্থা।
যাত্রী ও পথচারীদের অভিযোগ, খানাখন্দ, কাদামাটি ও ছোট-বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের পাশে ফুটপাথ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হচ্ছে। ৫ কিলোমিটার পার হতে কখনও যানজটের কবলে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, রাজঘাট থেকে ভাঙ্গাগেট পর্যন্ত মহাসড়কে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। একটু বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে থাকে। যানবাহন চলাচল করলে সেই গর্তের পানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গর্তে ভরা ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করতে হবে।
এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়ায় যে সমস্যা হয়েছে সে সম্পর্কে অবগত আছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আশাকরি বৃষ্টির মৌসুম শেষ হলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।