যশোর উপশহরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বাড়িতে গুলি,মা জখম

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুধবার গভীর রাতে যশোরের উপশহর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাজ্জাদ হোসেন রুপনের বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। উপশহর বি-ব্লকের বাড়িতে এই গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাজ্জাদ হোসেন রুপনের মা নাসরিন আক্তার গুরুতর জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উপশহর বি-ব্লক ১১৫ বাড়ির মৃত শওকত হোসেনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার জানান, বুধবার রাতে তিনি রাস্তা সংলগ্ন বাড়ির সামনের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ২টার পর শরীরে আচমকা আঘাত পেয়ে তার ঘুম ভেঙে যায়। ব্যথা অনুভুত হওয়ার পর তিনি দেখতে পান, পেটের ডান পাশে গুরুতর জখম হয়েছে। তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ঘরের ভেতর ছুটে আসেন। এ সময় রাস্তা সংলগ্ন ঘরের কাঁচের জানালায় দুটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। বাইরে থেকে কেউ গুলিবর্ষণ করায় জানালার কাঁচ ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এর একটি তার শরীরে আঘাত করে। ঘরের ভেতর দুই রাউন্ড গুলির খোসাও পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, তার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রুপন স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। রাত ২টার দিকে তার ছেলে বি-ব্লক বাজার থেকে বাড়িতে আসেন। এর ৫ মিনিট পরই দুবৃর্ত্তরা তাদের বাড়িতে গুলিবর্ষণ করে। তার ছেলেকে হত্যার জন্যে দুর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
উপশহর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন রুপন জানান, তিনি ছাত্র-জনতার মিছিলে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। এ কারণে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ করেছে। তিনি বলেন, ওই রাতেই গুরুতর জখম তার মাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে আশেপাশের স্থাপনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখতে পান, রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে একটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত দুই যুবক সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই মোটরসাইকেল আরোহীরা গুলিবর্ষণের সাথে জড়িত।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাজ্জাদ হোসেন রুপন আরো জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রাজ্জাক এবং সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশের একটি টিম তাদের বাড়িতে এসে গুলিবর্ষণের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র দাবি করেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাজ্জাদ হোসেন রুপনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের সাথে আওয়ামী লীগের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত মুনসুর ও তার সহযোগীদের হাত থাকতে পারে।