যশোরে অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগ আজ একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা যশোরের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া অভিভাবকরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পালবাড়ী ভাস্কর্যের মোড় থেকে কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে দুই শিক্ষার্থীর মা দৈনিক লোকসমাজে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তবে প্রশাসনের ভয়ে তারা তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখেন।

বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে আহত এক কলেজ ছাত্রের মা ও নূরপুর এলাকার গৃহবধূ বলেন, বৈধভাবে পাঁচ বছর ধরে কোনো সরকার ক্ষমতায় থেকে কামড়ালে তার বিষ নামে। কিন্তু দীর্ঘ এক যুগের অধিক সময় ধরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে বড় সাপ হয়ে গেছে, তারা কাউকে কামড়ালে তার বিষ নামে না। তারা সকলকে গিলে ফেলতে চায়। আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশে একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কর্মকা-ের সাথে শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদের জড়িত। তারা আমাদের বাচ্চাদের নব্য রাজাকার বলছে। এই দেশে বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে রাজাকার বানিয়ে তাদের আত্মা ভরেনি। এখন তারা আমাদের বাচ্চাদের রাজাকার বানাচ্ছে।

নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশ পরিবারের সদস্য দাবি করে ওই অভিভাবক আরও বলেন, যেখানে পুলিশ হত্যা করছে সারা বিশ্ব দেখছে, সেখানে ১৬ বছরের বাচ্চা কিভাবে আটক হয়? এই সরকারের কাছ থেকে আমাদের বাচ্চাদের হত্যার বিচার পাব না।, আমি এই দেশে কোনো অন্যায় দেখতে চাই না, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। পুলিশ সদস্যরা একদিকে আমাদের সন্তানদের হত্যা করছে, অন্যদিকে তাদের আটক করে তারাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছে এটা কোন ধরনের নাশকতা ও তামাশা হচ্ছে?

তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া না জানানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমদু খুনের মদদদাতা। তারা আমাদের বাচ্চাদের উস্কানি দিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এদেশের ছাত্রসমাজ ও তাদের অভিভাবকরা ঘরে ফিরবে না। অন্যায় ভাবে আমাদের বাচ্চাদের আটক করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। জেলের তালা ভেঙে আমাদের সন্তানদের বের করে আনবো।

যশোরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ওপর এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, আজকে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নেমেছি। আমাদের নিরীহ-নিরপরাধ সন্তানরা নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের আটক করা হচ্ছে। আজকে যে পুলিশ সদসরা মেয়েদের রাস্তায় ফেলে মারধর করছে, এরা তাদের সন্তান হলে কেমন লাগতো ? এর বিচার আমরা কার কাছে চাইবো?