ঝিকরগাছায় বাকিতে মাল নিয়ে টাকা পরিষোধ না করার অভিযোগ

0

ঝিকরগাছা (যশোর) সংবাদদাতা॥ যশোরের ঝিকরগাছায় এক মিল মালিক (ডিলারের) নিকট থেকে বাকিতে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪২২ টাকার মুুদিখানার মালামাল নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে শিমুল হোসনে নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। প্রতারক শিমুল উপজেলার চান্দা গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ও কায়েমকোলা বাজারের তাসনীম স্টোরের মালিক। টাকা ফেরত পেতে মিল মালিক বারবার শিমুলের বাড়িতে গেলেও নানা অযুহাত দেখাচ্ছেন শিমুল। বারবার মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ সাক্ষীরা।
৩ শ টাকার স্ট্যাম্পে করা চুক্তিনামা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ সালের বিভিন্ন সময়ে ঝিকরগাছা বাজারের ঝিকরগাছায় মেসার্স মাহাবুব চাল ডাল ও ওয়েল মিলের প্রোপাইটর ইসমাইল হোসেন চান্দালীর নিকট থেকে ৩ লাখ ১০হাজার ৪২২ টাকার মুদিখানার মালামার বাকিতে নেন শিমুল। সময়মত টাকা পরিশোধ না করায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা ও ২০২৩ সলের জুনে সমস্ত টাকা পরিষোধ করে দেওয়া হবে বলে শিমুল ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে একটি লিখিত অঙ্গীকার দেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শিমুল কোন টাকা দেননি। এদিকে কয়েক বছর ধরে করোনা ও চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা খারাপ যাওয়ায় বিপদে পড়ে মিল মালিক ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলেরা প্রতিনিয়ত টাকার জন্যে শিমুলের বাড়ি গেলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না।
এ বিষয়ে সাক্ষী কায়েমকোলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সদস্য জহির হোসেন, বিপুল হোসেন, হবিবর রহমান, রুহুল আমিন ব্যর্থ হয়ে পাওনাদার ইসমাইল হোসেনকে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছেন।
শিমুল হোসেন বলেন, বর্তমানে তার ব্যবসা নেই। ইউরোপে যাওয়ার জন্যে টাকা জমা দিয়ে প্রায় ২৫ লাখ টাকা মার খেয়েছি। সে কারণে পাওনা টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।
পাওনাদার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম বলেন, শিমুল ভালো ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বাকিতে মালামাল নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করে বিদেশে যাওয়ার জন্যে টাকা জমা দিয়েছেন। গোপনে তিনি বিদেশে চলে যেতে পারেন। এছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ।