আলী রেজা রাজু সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলী রেজা রাজুর স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, রাজনীতিতে আলী রেজা রাজু ছিলেন জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব নেতা। যার কাছে দলের নেতা কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষের ছিল অবাধ প্রবেশাধিকার। কোন মানুষ তার কাছে গেলে অন্য কারোর অনুমতি নেয়া লাগতো না। নির্দ্বিধায় তার শয়নকক্ষে গিয়ে গিয়ে মনের কথা বলতে পারতেন এবং ধৈর্য্য ধরে শুনে তার সমাধান দিতেন তিনি। কোনদিন কারোর উপকার ছাড়া তিনি ক্ষতি করেননি। মানুষের কল্যাণে তিনি সারাজীবন নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
আলী রেজা রাজুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক উপশহর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হারুন অর রশিদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মরহুম আলী রেজা রাজুর কনিষ্ঠ জামাতা ঢাকা নির্বাচনী এলাকা-১০ এর সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আহমেদ ফেরদৌস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাকেন পৌর লীগের সভাপতি অ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিটন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মানব কল্যাণে যারা কাজ করেন তাদের কখনো মৃত্যু হয় ন্ াজীবিত ব্যক্তির চেয়ে মৃত ব্যক্তি আরো শক্তিশালী হতে থাকেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রায়ত তরিকুল ইসলাম, প্রায়ত খালেদুর রহমান টিটো ও আলী রেজা রাজুর নাম উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, তারা ৩ জনই ছিলেন পরস্পর অকৃত্রিম বন্ধু। রাজনৈতিক মত ও পথ ভিন্ন হলেও জনগণের কল্যাণে তাদের বন্ধুত চিরদিন অটুট ছিল। তাই মানব কল্যাণে অনুপ্রাণিত আলী রেজা রাজু দেশ ও দশের যেভাবে সেবা করে গেছেন তাতে জীবিত রাজু দা মৃত্যুর পর আরো শক্তিশালী রাজু হিসেবে আবির্ভুত হয়েচেন। তার আদর্শকে অনুস্মরণ করে আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বক্তারা সকল নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানান।