রামপালে পাঁচ কিমি সড়কে খানাখন্দ প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার চাকশ্রী-গিলাতলা সড়কে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে থাকে সড়কটিতে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। জনভোগান্তি কমাতে অতিদ্রুত সড়কের সংস্কার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে, গিলাতলা থেকে বাগেরহাট, খুলনা, মোংলা, ফয়লাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। এদিকে খানপুর, চাকশ্র্রী ও বাইনতলা এলাকার একটি বড় অংশ এই সড়ক দিয়ে রামপাল, মোংলা, ফয়লা, ভাগাসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ ও কয়েক হাজার যানবাহন চলে এই সড়কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাকশ্রী থেকে গিলাতলা পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘের এই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে জমে পানি। সড়কের ওপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় জমেছে কাদা। সড়কের পাশ ও মাঝখানে চাকশ্রী এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে, একুববারিয়া, বাইনতলা নেছারিয়া আলিয়া মাদ্রাসাসহ অন্তত ১৩টি স্থান দেবে গেছে। এসব জায়গা থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।
এই সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইকচালক মো. রাজু বলেন, রাস্তার যে বেহাল দশা, তাতে চলাচল করা খুবই কষ্ট। কয়েকদিনে দুইবার আমার ইজিবাইক উল্টে গেছে। তারপরও বের হতে হয়, ইজিবাইক না চালালে খাব কী।
চাকশ্রী এবিসি ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু হানিফ বলেন, দুই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না ভাঙা রাস্তার জন্য। বৃষ্টির সময় কয়েকবার গর্তের মধ্যে পড়ে গেছি। গর্তে পরে আমার বন্ধুরাও আহত হয়েছে।
বাসচালক ওমর ফারুক বলেন, চাকশ্রী থেকে গিলাতলা মাত্র সাড়ে ৫ কিলোমিটার পথ যেতে স্বাভাবিকভাবে ২০ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু খানাখন্দ ও ভাঙাচোরার কারণে এক ঘন্টারও বেশি সময় লাগে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হন। আমাদের গাড়িরও বেশ কয়ক্ষতি হয়।
রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল্লাহ বলেন, তিন বছরের বেশি সময় ধরে রাস্তাটির বেহাল দশা। সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য নিজের পকেটের টাকা দিয়ে খানাখন্দে ইটের আদলা দিয়েছি, কিন্তু এখন আর দেওয়ারমত জায়গা নেই। সব জায়গায় খারাপ অবস্থা। এখনই যদি এই সড়ক সংস্কার না করা হয়, তাহলে রাস্তা দিয়ে আর মানুষ চলাচল করতে পারবে না।
রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির ৩ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।