সংস্কারের জন্য রাস্তা খুঁড়ে রেখে উধাও ঠিকাদার, ৯ মাস ধরে ভোগান্তি

0

জয়দেব চক্রবর্ত্তী, কেশবপুর (যশোর) ॥ কেশবপুর উপজেলার ‘গড়ভাঙ্গা ভায়া দুর্বাডাঙ্গা সড়কের’ আড়াই কোটি টাকার সংস্কার কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন। নয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সড়ক সংস্কারের কাজ। সড়কের দু পাশে মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধের কারণে খুড়ে রাখা সড়কে সবসময় হাটু পানি জমে থাকে। ফলে হাজারও মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙ্গা বাজার থেকে বিলের মধ্য দিয়ে দুর্বাডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার একটি ইটের সোলিং সড়ক ছিল। এ সড়ক দিয়ে কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙ্গা, মাদারডাঙ্গা, বেলকাটি, বাকাবর্শী, পাাঁজিয়া, কেশবপুরসহ ২০/২৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। অপরদিকে, মনিরামপুর উপজেলার বাটবিলা, দুর্বাডাঙ্গা, হরিনা, শ্যামনগর, নেহালপুর, বালিধা, নওয়াপাড়াসহ ১৫/২০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। বন্যার হাত থেকে ঘের রক্ষায় ১০/১৫ বছর আগে গড়ভাঙ্গা বিলের ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ ও কামরুল ইসলাম বিশ^াস রাস্তার দু পাশে ৩/৪ ফুট উঁচু করে ঘেরের বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। এরপর থেকে সড়কটিতে সবসময় হাটু পানি জমে থাকতো। ফলে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হতো। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সড়কটি সংস্কারে ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি পান যশোরের বনান্তর ট্রেডিং লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবু সাইদ।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ঠিকাদার আবু সাইদ সড়কের কাজ শুরু করেন। ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল সংস্কার কাজ শেষ করার কথা। ৯ মাস আগে সড়কটির ইটের সোলিং তুলে গর্ত করে খুঁড়ে সড়কের দু পাশে খোয়া ভেঙে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় পানি, দু পাশে মাছের ঘের থাকায় যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কাজের মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।