যশোরে পৌরসভার জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ যশোর পৌরসভার জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে হজরত বোরহান শাহ সড়কের ওয়াপদা মোড়ের মফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মানুষের চলাচলের জায়গা বন্ধ করে দিয়ে তিনি সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ নির্মাণাধীন স্থাপনাকে অবৈধ উল্লেখ করে তা অপসারণের জন্য একাধিকবার চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে। তবে মফিজুর রহমান নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মফিজুর রহমান হজরত বোরহান শাহ সড়কের ওয়াপদা মোড়ের তার বসত বাড়ির উত্তর পাশের রাস্তার জায়গা দখল করে নতুন দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। নির্মাণধীন নতুন দোকান ঘরের পূর্ব পাশের জায়গা আগে দখল করে আরও তিনটি দোকান ঘর তৈরি করেছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ জায়গাটি মানুষের চলাচলের জন্য ফেলে রেখেছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় তিনি ওই জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন।
যশোর পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, মফিজুর রহমানকে কাজ বন্ধের জন্য মে মাসের ৮ তারিখে নোটিশ দেয়। কিন্তু মফিজুর রহমান নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে কলাম নির্মাণ ও পুরাতন ভবনের সাথে সংযুক্ত করে এবং রাস্তার দিকে আরও বর্ধিত করে ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করেন। সর্বশেষ ২৫ জুন পৌর র্কর্তৃপক্ষ মফিজুর রহমানকে পুনরায় নোটিশ দেয়। নোটিশে মফিজুর রহমানকে তার বসতবাড়ির পূর্ব পাশের রাস্তার জায়গায় নির্মিত সেমিপাকা দোকান ঘর এবং উত্তর পাশে বর্তমানে নির্মাণাধীন পাকা ভবনসহ পৌরসভার অনুমোদনহীন তার সকল স্থাপনা ভেঙে অপসারণ করে পৌর র্কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য বলা হয়। নির্দেশ অমান্য করলে কোনপ্রকার নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই স্থাপনা ভেঙে অপসারণ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মফিজুর রহমান প্রভাবশালী লোকদের সহায়তায় রাস্তার জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। ঘরটি নির্মাণের ফলে এ পথ দিয়ে আমাদের চলাচলের জায়গা নেই। এখন ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হবে।’
যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণী খান পলাশ বলেন, তাকে বারবার নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কর্ণপাত না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মফিজুর রহমান যদি দোকান ঘর ভেঙে সরিয়ে না নেন, তাহলে নির্দেশ অমান্য করার কারণে পৌরকর্তৃপক্ষ স্থাপনা ভেঙে অপসারণ করবে। জরিমানাসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত মফিজুর রহমান পৌরসভার নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি এখনো নোটিশের জবাব দিইনি। তার আগেই অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। ওই জমির দলিলপত্র আমার কাছে আছে, আমি পৌরসভার এক ইঞ্চি জমিও নেব না। কে বা কারা আমার সাথে শত্রুতামূলক ভাবে এই কাজটি করছে।