নারীকাণ্ডে আলোচিত যশোরে ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ দৈনিক লোকসমাজে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচিত সমালোচিত যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। নিজ দলের কর্মীকে বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে সমালোচনার জন্ম দেওয়া এই নেতাকে সংগঠন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস এবং সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে স্বীয় পদ থেকে অব্যহতি দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়। একই সাথে তাকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর সুপারিশ করা হয়।
নিজ দলের কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জেলা ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে গেল শনিবার দৈনিক লোকসমাজ প্রথমে সংবাদ পরিবেশন করে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে জেলা ছাত্রলীগ নড়েচড়ে বসে।
যদিও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তরিকুল ইসলামের নারী ঘটিত কেলেঙ্কারীর বিষয়টি উল্লেখ করেননি। কিন্তু তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির অংশ হিসেবে অব্যাহতি দেওয়ার নেপথ্যের কারণ নারী ঘটিত কেলেঙ্কারী এমনটি জানিয়েছেন দলের একাধিক নেতাকর্মী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যাকালাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তরিকুল ইসলামে অব্যহতি দেওয়া হলো উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু প্রকৃত ঘটনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামের সাথে গেল আড়াই বছরে পূর্বে যশোর সরকারি এম এম কলেজের সাবেক এবং সাতক্ষীরা ল কলেজের ওই শিক্ষার্থীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। যিনি নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করেন। দুই থেকে আড়াই বছর পূর্বে তরিকুল ইসলামের সাথে ওই ছাত্রলীগ কর্মীর পরিচয় থেকে সখ্য গড়ে ওঠে। এরপর থেকে তরিকুল ইসলাম ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তার ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের ভাড়া বাড়িতে এবং পরবর্তীতে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের ভাড়া বাড়িতে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করেন। ভুক্তোভোগী ওই তরুণী নিজ দলের নেতার সাথে কাটানো অন্তরঙ্গ মুহূর্ত নিজেই তার মুঠোফোনে ধারণ করেন। এরমধ্যে তরিকুল ইসলাম ওই তরুণীকে বিয়ের করতে অস্বীকার করেন এবং পারিবারিক ভাবে ঝিকরগাছার একটি মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তোভোগী পরবর্তীতে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেন। যা নিয়ে রীতিমত নেটিজেনদের মাঝে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামের অব্যহতির বিষয় সংগঠনের জেলা সভাপতি সালাউদ্দিন করিব পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কেউ রিসিভ করেননি। এমনকি জেলা ছাত্রলীগের সাথে কথা বলার জন্য তার পিতার সাথে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করেন। কিন্তু তার পিতা বলা পরও তিনি এই প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি অভিযুক্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলামও ফোন রিসিভ করেননি।