বাঘারপাড়ায় সুদে টাকা নিয়ে সহায় সম্বল হারাতে বসেছেন মাদরাসা শিক্ষক

0

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা॥ বাঘাপাড়ায় সুদের টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাফিজউদ্দিন নামের এক মাদরাসা শিক্ষক। সুদের টাকা দিতে না পারায় তার বসতবাড়ি দখলের পাঁয়তার করছেন সুদেকারবারীরা। এর থেকে বাঁচতে তিন জনের নাম উল্লেখ করে বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামের মৃত আকমান মোল্লার ছেলে ভুক্তভোগী হাফিজউদ্দিন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, হাফিজউদ্দিন অভাব-অনটনে পড়ে একই গ্রামের মোহম্মদ মোকামের ছেলে হারুনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ও সোহেলের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। বিনিময়ে প্রতি ধান মৌসুমে লাখ প্রতি ১০মণ করে ধান পরিশোধের কথা। যা উভয়ের সইয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লিখিত চুক্তিনামা হয়। সুদ বাবদ ৩৫ মণ ধানের দুই কিস্তি (৭০ মণ ধান) পরিশোধ করেন হাফিজ। এরপর বিশেষ কারণে পরের কিস্তি দিতে না পারলে হারুন ও সোহেল একই গ্রামের মুজিবর মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে জোর করে একটি স্ট্যাম্পে সই নেন। স্ট্যাম্পে লেখা ছিলো, ৯ মে তারিখের মধ্যে সুদসহ আসল টাকা ফের দিতে না পারলে বসতবাড়ি ও ধানি জমির অর্ধেক হারুন ও সোহেলের নামে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে লিখে দিতে বাধ্য থাকিব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা দিতে পারেন নি হাফিজ। এরপর উল্লিখিত তিনজন ২০ মে অরেকটি স্ট্যাম্প নিয়ে হাজির হন হাফিজের বাড়ি। সে স্ট্যাম্পে লেখা ছিলো, ২৩ লাখ টাকার বিনিময়ে হারুন ও সোহেলের কাছে বসতবাড়ি বিক্রি করলাম। বায়না বাবদ ৮ লাখ টাকা গ্রহণ করলাম। এ স্ট্যাম্পেও বিবাদিরা ভয়-ভীতি দেখিয়ে সই করিয়ে নেন হাফিজের কাছ থেকে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিচারের আশায় ঘুরে শেষে ২১জুন হারুন, সোহেল ও শরিফুলের নাম উল্লেখ করে বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোহাম্মদ হাফিজউদ্দিন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন মন্ডল বলেন,স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন মাদরাসা শিক্ষক হাফিজউদ্দিন। সুতরাং চুক্তি অনুযায়ী আমার প্রাপ্য আমি বুঝে নেবো।
বাঘারপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।