ঈদকে সামনে রেখে চৌগাছা বাজারে পণ্যের ঘাটতি নেই, ক্রেতার অভাব

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় এখনও জমেনি ঈদের বাজার। প্রসাধনী দোকানে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও পোশাক, ছিট কাপড়, জুতা এমনকি মুদি দোকানেও মিলছে না কাঙ্খিত ক্রেতা।
আগামী ১৭ জুন সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা উৎসব। প্রতি বছর এ ধরনের উৎসবে বাজারের ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা করতে গিয়ে দম ফেলার সময়টুকু পেতেন না। কিন্তু এবছর সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে চৌগাছা বাজারে। ব্যবসায়ীরা তাদের সাধ্যমত মালামাল তুলে দোকান ঘর সাজিয়েছেন বেশ আগেই। ঈদের কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে থেকে ধুম বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই, কিন্তু নেই ক্রেতা। এর ফলে চরম দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
বুধবার দুপুরে চৌগাছা বাজারের মসজিদ মার্কেট, স্বর্ণপট্টি, অ্যানি সুপার মার্কেটসহ বেশ কিছু মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা অনেকটাই অলস বসে আছেন। কিছু কিছু দোকানে ক্রেতা আছে কিন্তু তুলনামূলক খুবই কম। এ সময় কথা হয় রিমঝিম বস্ত্রবিতানের মালিক হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ঈদের আর মাত্র চার দিন বাকি কিন্তু এখনও বেচাকেনা সেভাবে লাগেনি। শাড়ি লুঙ্গি বিক্রেতা ইব্রাহীম বস্ত্রবিতানের মালিক আনোয়ার হোসেন ডাবলু বলেন, বেচাকেনা খুবই কম। মানুষের হাতে টাকা নেই তাই বিক্রি কম বলে মনে হচ্ছে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রুপসী বস্ত্রবিতানের মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ধার দেনা করে দোকানে মাল তুলেছি, কিন্তু বেচাকেনার যে ভাব তাতে দেনা শোধ করা নিয়ে চিন্তায় আছি। স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, সোনার গহনা আগেও যেমন বিক্রি ছিল এখনও সেই রকম আছে, ঈদ উপলক্ষ্যে বেচাকেনা বাড়েনি।
প্রসাধনী ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতরে যে পরিমাণ বিক্রি করেছি এই ঈদে এসে তার অর্ধেকও বিক্রি হবে না। ক্রেতার বড্ড অভাব দেখা দিয়েছে।
বাজারে আসা মনোয়ারা বেগম বলেন, বাচ্চাদের জন্য কিছু কিনতে এসেছি। জিনিস পত্রের যে দাম তাতে করে আমরা বড়রা ঈদে কিছুই কিনবো না শিশুদের জন্যই আসা। টিপু সুলতান বলেন, আয় রোজগার খুবই কম সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাৎসরিক উৎসব তাই পরিবারের ছোটদের জন্য কিছু কিনতে এসেছি। স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী রাজিব হোসেন বলেন, আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদ সেটি কেন যেন ভুলতে বসেছি। যা আয় করি তাতে সংসার চলে না কিভাবে উৎসবে বাড়তি ব্যয় করবো।