যশোর সংস্কৃতি কেন্দ্রের আলোচনা সভায় বক্তারা সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস সব সময় অবিচল ছিলেন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ মোস্তফা রহুল কুদ্দুসের জীবন শুধু সাংবাদিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো না। তিনি সমাজে সুস্থ সংস্কৃতিচর্চায় সব সময় অবিচল ছিলেন। সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমে কীভাবে সমাজের বিরাজমান অপসংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে উন্নত ও রুচিসম্মত সংস্কৃতির সুপ্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলা যায় সে কাজে সব সময় নিয়োজিত ছিলেন তিনি। তার ক্ষুরধার লেখনির অন্তত ৩০ টি প্রকাশনায় আল্লাহ ও রাসুলের আদর্শ ও সুমহান মর্যাদা জাগ্রত করেছে।
রোববার প্রেসক্লাব যশোরের দ্বিতীয়তলা মিলনায়তনে যশোর সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন আলোচকবৃন্দ। যশোর সংস্কৃতি কেন্দ্র নামে এই সংগঠনটির সহসভাপতি ছিলেন সদ্য প্রয়াত সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক নাট্যকার, ছড়াকার মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস।
যশোর সংস্কৃতি কেন্দ্রের সভাপতি যশোরের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট এনামুল হকের সভাপতিত্বে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা রাজনীতিক অধ্যাপক গোলাম রসুল, উপদেষ্টা অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, দৈনিক লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবীর নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সহসভাপতি নূর ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, দৈনিক গ্রামের কাগজের যুগ্ম সম্পাদক এম.আইউব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট রুকুনুজ্জামান, প্রয়াত মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের একমাত্র পুত্র সন্তান রাকিব শাহরিয়াহ,যশোর সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, ইউনিক সোসাইটির সভাপতি ডা. আনিসুর রহমান ও তরঙ্গ শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি মোস্তফা কামাল।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে সমাজে ভালো কাজ করে গেছেন। তিনি জীবনটাকে উপভোগ করেছেন কম। ভালো কাজ করেছেন বেশি। বিলাসী জীবনকে তুচ্ছ মনে করে তিনি সবসময় সাদামাটা জীবন-যাপন করেছেন। তার কল্যাণকর কর্মগুলো ছিলো শতভাগ ইসলামী মূল্যবোধের চেতনায় ভরপুর। জীবদ্দশায় তিনি কখনও মানুষকে ঠকিয়েছেন এমন কথা কেউ বলতে পারবেনা। তিনি সব সময় দুনিয়াকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে আখেরাতের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রয়াত মোস্তফা রুহুল কুদ্দুসের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যশোর সংস্কৃতি কেন্দ্রের সদস্য সচিব অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজা।