পাইকগাছায় সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল

0

এইচএম শফিউল ইসলাম, কপিলমুনি (খুলনা)॥ দেরিতে হলেও পাইকগাছায় আমগাছ মুকুলে ভরে গেছে। আমের মুকুল সৌরভ ছড়াচ্ছে। সুমিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে পরিবেশ। বসন্তের শুরু থেকেই মুকুলে শোভা পাচ্ছে গাছ। মৌমাছির দল গুনগুন করে ভিড়তে শুরু করছে আমের মুকুলে। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাসে আন্দোলিত হয়ে উঠেছে চাষির মনও। তবে এ বছর প্রথম দিকে আশানারুপ মুকুল ধরেনি। তারপরও মনে আশা নিয়ে আমচাষি ও বাগান মালিকরা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নাবিতে মুকুল এসেছে আর পুরো গাছ মুকুলে ভরে গেছে।চাষির মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করেছেন । যাতেকরে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
পাইকগাছাসহ উপকূল এলাকায় চলতি বছর অনেক দেরিতে আম গাছে মুকুল বের হওয়া শুরু হয়েছে। অধিকাংশ গাছের মুকুল ভালো হয়েছে। তবে অল্প কিছু গাছে কোন মুকুলই বের হয়নি।
পাইকগাছার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভা ছাড়া বাকি ইউয়িনগুলোতে সীমিত আমের গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৫শ ৮৫ হেক্টর জমিতে মোট আম গাছ রয়েছে। গাছের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। কিছু কিছু পরিকল্পিত আম বাগান রয়েছে। এসব বাগানে সর্বনিন্ম ১০টি গাছ রয়েছে। ৫ শতক, ১০ শতক, ১ বিঘা ও ৩ বিঘা পর্যন্ত আমের বাগান রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ আছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাগানের ৯০ ভাগ গাছে খুব ভালো মুকুল ধরেছে। মাত্র ৫ ভাগ আম গাছে মুকুল বের হয়নি। কৃষি অফিস আশা করছে, আম বাগান থেকে চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৮ শ মেট্রিক টন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তারপরও বাগান মালিক, কৃষিবিদ, আমচাষিরাও আশা করছেন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় আমের ফলন আশানারুপ হবে। উপজেলায় মল্লিকা, চুষা, আশ্বিনা, ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি, লতা, বারি ৪, আম্রপলি, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়।
উপজেলার কপিলমুনি, গদাইপুর, হরিঢালী, রাড়ুলী, পৌরসভা, চাঁদখালীসহ বিভিন্ন এলাকা আম বাগানের গাছে মুকুল ভালো হয়ছে।
আম চাষি মজিবুর রহমান জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। বাগানের আম গাছ মুকুলে ভরে গেছে। আমরা কৃষি বিভাগে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও আমাদের বাগানে এসে আমের বাগান ভাল রাখার জন্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসিম কুমার দাশ জানান, পাইকগাছায় ৯৫ ভাগ গাছে মুকুল চলে এসেছে। চাষিদের ফুল ফোটার অবস্থায় কোন ওষুধ বা কীটনাশক ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে।