ড্রাগনের সাথে পাঁচ ধরনের সাথী ফসল চাষে সাফল্য

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ ইচ্ছা শক্তি থাকলে যে কোন অসাধ্যকে যে সাধন করা যায় তার প্রমাণ চৌগাছার চাষি আনিছুর রহমান। এক ফসলের সাথে আরও পাঁচটি ফসল উৎপাদন করে তিনি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। আনিছুরের মত একজন কৃষক অন্য চাষিদের কাছে দৃষ্টান্ত হতে পারেন মনে করছেন অনেকে।
নানা কারণে ফসলি জমি কমতে শুরু করেছে। চৌগাছা উপজেলাতে ফসলি জমি কমে যাওয়ার কারণে এর প্রভাব পড়েছে সব ধরনের ফসল উৎপাদনে। উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বেশ কয়েকজন চাষি জমিতে হরেক রকমের ফসল উৎপাদন করছেন। বিগত বছরগুলোতে এক ফসলের সাথে অতিরিক্ত আরও এক বা দুই ফসল উৎপাদন করেছেন তারা। সাফল্যও পেয়েছেন। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে কৃষক আনিছুরের ক্ষেত্রে। তিনি একটি ফসলের সাথে আরও পাঁচটি ফসল উৎপাদন করেছেন। পেয়েছে সাফল্য ।
আনিছুর রহমান পেশায় একজন খাবার হোটেলের মালিক। বছরের পর বছর ধরে তিনি হোটেল ব্যবসা করে আসছেন। এর পাশাপাশি মাঠে পরের জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন ফসলও উৎপাদন করেন। এবার তিনি চৌগাছা টেংগুরপুর মাঠে দুই বিঘার বেশি জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ শুরু করেছেন। ড্রাগন যেহেতু দীর্ঘ মেয়াদি একটি ফল সে কারণে ড্রাগন লাগানোর সাথে সমুদয় জমিতে ওই চাষি টমেটো, মুড়িকাটা পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, মুলা ও কাঁচা মরিচের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে মুলা বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি ও কাঁচা মরিচ। এ ছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফুলও বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিটি ফসল হতে কৃষক আনিছুর রহমান সন্তোষজনক টাকা আয় করছেন। জমি পরিচর্জার কাজে নিয়োজিত সালমিন আলম, সামাউল ইসলাম ও উজ্জল হোসেন বলেন, আমরা সকলে দিন চুক্তিতে এই ক্ষেতে কাজ করি। কৃষক আনিছুর রহমান পরিকিল্পিতভাবে চাষাবাদ করেছেন। বেশ লাভবান হচ্ছেন।
কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ শুরু করি। এরপর চিন্তা করি ড্রাগন তো দীর্ঘ মেয়াদি ফসল তাই ড্রাগনের মধ্যে অন্য ফসল উৎপাদন সম্ভব। সেই চিন্তা থেকে একাধিক ফসল উৎপাদন করেছি এবং সাফল্য পেয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি খুবই ভালো উদ্যোগ। আমরা চাষিদের এ ধরনের ফসল উৎপাদনে বরাবরই উৎসাহ প্রদান করে থাকি।