শরণখোলায় এবার মূল বেড়িবাঁধে ভাঙন

0

শরণখোলা(বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকায় এবার মূল বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সিসি ব্লকসহ বাঁধের প্রায় ১০০ফুট বলেশ্বর নদে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া মূল বাঁধের আরো ব্যাপক এলাকায় বিশাল ফাঁটল ধরেছে। ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভাঙন রোধে জরুরি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগে বালি ভরে বিকেল ৩টা দিকে ডাম্পিং শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে স্থায়ী নদী শাসনের ব্যাবস্থা করা হবে।
এদিকে অব্যাহত ভাঙনে স্থায়ীত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টেকসই বেড়িবাঁধটির। অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে গাবতলা বাজার থেকে বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা। এছাড়া একেবারে ভাঙনের মুখে রয়েছে বাঁধের পাশে অবস্থিত আশার আলো মসজিদ কাম সাইক্লোন শেল্টার এবং অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি।
সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত ভাঙন শুরু হয়েছে মঙ্গলবার রাত থেকেই। বুধবার সকাল ও দুপুরে জোয়ার ও ভাটির টানে সেই ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একদিনে সেখানে রিংবাঁধ,গাছপালা,দোকান ঘরসহ প্রায় ১০ বিঘা জমি বলেশ্বরে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হেমায়েত হাওলাদার, রুস্তম হাওলাদারসহ অনেকেই জানান, বিগত দিনে বলেশ্বর নদে ভাঙনে তারা প্রায় নিঃস্ব। এই নদীর ভাঙনে আজও তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ জানান, ভাঙন ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করছে। সিসি ব্লকসহ মূল বাঁধের প্রায় ১০০ ফুট ধসে গেছে। এছাড়াও বিশাল এলাকায় ফাঁটল ধরেছে। গাবতলা বাজার থেকে বাবলাতলা প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব এলাকায় স্থায়ী নদী শাসন প্রয়োজন। বালির বস্তা ফেলে সাময়িক রক্ষা পেলেও তা স্থায়ী হবে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভাঙনরোধে জিও ব্যাগে বালি ভরে ডাম্পিং শুরু হয়েছে। আপাতত এক হাজার ব্যাগ ডাম্পিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনে আরো বাড়ানো হবে।