যশোর শহরে রিপন হোসেন নামের এক যুবক খুন

0

স্টাফ রিপোর্টার ।।  সোমবার রাতে যশোর শহরের মুজিব সড়কে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের হাতে রিপন হোসেন (২৫) নামে এক সন্ত্রাসী খুন এবং মোস্তাক ও বিপুল নামে দুই জন জখম হয়েছেন। নিহত ও আহতরা খড়কির কুখ্যাত সন্ত্রাসী ভুট্টোর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী কুখ্যাত ডিকু ও তার সঙ্গীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অপরদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আহত মোস্তাককে ডিবি পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সেন্ট্রাল মুজিব সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এস এম রাজীব জানান, রাত ৮টার দিকে মুখ বাঁধা কয়েকজন সন্ত্রাসী মুজিব সড়কের পঙ্গু হাসপাতাল এলাকা থেকে কয়েক যুবককে ধাওয়া করে নিয়ে আসে। এর মধ্যে এক যুবককে ওই স্থানের বেবি শপ নামে একটি দোকানের সামনে ধরে ধারালো দা দিয়ে কোপানো হয়। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাধাদানের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা সেন্ট্রাল মুজিব সড়ক ব্যবসায়ী সমিতির অফিসের সামনের দরজার কাচ ভাঙচুর করে। এরই মধ্যে সন্ত্রাসীদের মধ্যে কয়েকজন ধাওয়া করে আরেক যুবককে আশা এন্টারপ্রাইজের পাশের তাড়ং নামে দোকানের সামনে রাস্তায় গিয়ে ধরে ফেলে। মূলত ওই যুবক সামনে থেকে আসা একটি রিকশায় বাধা পেয়ে পড়ে যায়। তখন সন্ত্রাসীরা তাকেও ছুরিকাঘাত এবং কোপায়।
খড়কি এলাকার বাসিন্দা কালু মিয়া জানান, মুজিব সড়কে সন্ত্রাসীদের ওই হামলায় রিপন নামে একজন খুন এবং বিপুল ও মোস্তাক নামে অপর দুই জন জখম হয়েছেন। রিপন খড়কি ধোপাপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমান ওরফে বুড়ো মিয়ার ছেলে। মোস্তাক খড়কির ভুট্টোর শ্যালক। তিনি জানান, খড়কির কুখ্যাত ডিকুসহ সাকলাইন, আসিফ, পিচ্চি রাজ্জা এবং ষষ্ঠীতলার নিশান এই হামলার সাথে জড়িত।
খড়কি এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে এ দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।
আহত মোস্তাক অভিযোগ করেন, তাদের ওপর হামলার সাথে পোস্ট অফিস পাড়া, ষষ্ঠীতলা এবং খড়কি এলাকার সন্ত্রাসীরা জড়িত।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, জখম মোস্তাককে হাসপাতাল মর্গের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে।
এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইনসপেক্টর (তদন্ত) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে হামলার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সন্ত্রাসীদের হাতে একজন খুন এবং অপর একজন জখম হয়েছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।