যশোরে নিখোঁজ ময়নুরের লাশ মিললো এক মাস পর

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিখোঁজের এক মাস পর অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক এস এম ময়মুর হোসেন (৬২) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর-মাগুরা সড়ক সংলগ্ন পাঁচবাড়িয়া বেলতলা নামক স্থান থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসআই জিয়াউর রহমান জানান, বিকেলে স্থানীয় লোকজন পাঁচবাড়িয়া বেলতলা নামক স্থানের একটি ঝোঁপের ভেতর অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় পুলিশ সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম জানান, লাশটি এস এম ময়মুর হোসেন নামে এক ব্যক্তির। তার প্যান্টের পকেটে ছিলো ভাগ্নের মোবাইল ফোন নম্বর। সেই নম্বরের সূত্র ধরে লাশটি এস এম ময়মুর হোসেনের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, এক মাস আগে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এস এম ময়মুর হোসেনের স্ত্রী শিরিনা খাতুন ওরফে লাকি বেগম হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, এস এম ময়মুর হোসেনের বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার আমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যশোর শহরের বকচর প্রাইমারি স্কুলের পাশের জনৈক মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে পাওনা টাকা আনতে বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে হাসান আলী বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তার কাছে তিনি ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পেতেন। ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভালো বেতনের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে ময়মুর হোসেনের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিলেন হাসান আলী গাজী। তার কাছে পাওনা টাকা আনতে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন ময়মুর হোসেন। এ ঘটনায় ময়মুর হোসেনের স্ত্রী শিরিনা খাতুন ওরফে লাকি বেগম গত ১৩ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে হাসান আলী বিশ্বাস ছাড়াও পারভেজ নামে আরো এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।