সরকার নিজের পতন ঠেকাতে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে:অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা মহিলাদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন,বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত নারী বেগম খালেদা জিয়া। শাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে গণতন্ত্র এবং জনগণের জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন,সেটি বিশ্ববাসীর কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে। যিনি ৭৮ বছর বয়সেও ফ্যাসিস্ট সরকারের সীমাহীন নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে জনগণের মুক্তির জন্য লড়াই সংগ্রাম করছেন। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ হলেও ফ্যাসিস্ট সরকার তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। ফ্যাসিস্ট সরকার জানে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আর গণতন্ত্রের মুক্তি একই সুতোয় গাঁথা। যে কারণে ফ্যাসিস্ট নিজের পতন ঠেকাতে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে ফরমায়েশি রায়ে বন্দি করে রাখার পর তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
শনিবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করার আগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও সদস্য সচিব অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনা সভায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, আজ যখন মহিলা দল তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে, তখন দেশের মহিলারা কী অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছে সেটি প্রতিদিনের হালচাল বলে দেয়। আজ তারা ঘরে বাইরে সবখানে নির্যাতিত নিপীড়িত। ঘর থেকে কোনো যুবতী বের হলে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে না। একদিকে তারা কর্মস্থলে সীমাহীন বৈষম্যের শিকার, অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মেয়েরা নিরাপদ নয়। ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের দাপটে আজ তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসহায়। রাতের আঁধারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলগুলোতেও তাদের ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। অথচ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া মহিলাদের সর্বমহলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন। তাদের নিশ্চিত ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তারা ব্যাপক অবদান রেখেেিছলন। তাদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। বিএনপি সরকার নারীদের প্রাথমিকে চাকরির ক্ষেত্রে শতকরা ৬০ ভাগ নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। সেদিন বেগম খালেদা জিয়া কী বলতে চেয়েছিলেন,সেটি অনেকে বুঝতে না পারলেও আজ সকলেই বুঝেছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার,আইনের শাসন,মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে এক দফার আন্দোলন চলছে, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাল্লাহ।
সদর উপজেলা মহিলাদলের সিনিয়র সহ-সভানেত্রী সেলিনা পারভিন শেলী ও যুগ্ম-সম্পাদিকা সুফিয়া মাহমুদ রেখার পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, জেলা মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদিকা নাহিদা আক্তার,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদিকা আনোয়ারা পারভিন আনু,নগর মহিলাদলের সভানেত্রী শামসুন্নাহার পান্না,সাধারণ সম্পাদিকা সাবিহা সুলতানা,মহিলাদল নেত্রী নাজমা বেগম,মদিনা বেগম,নুরুন্নাহার নুরী প্রমুখ।


আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথির নেতৃত্ব জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি হরিনাথ দত্ত লেনের নোভা হাসপাতালের সামনে দিয়ে,ভোলা ট্যাংক রোড,রেল রোড সোনালী ব্যাংকের সামনে হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির য্গ্মু-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন,সদস্য গোলাম রেজা দুলু,মিজানুর রহমান খান, একে শরফুদ্দৌলা ছোটলু,অ্যাড.হাজী আনিছুর রহমান মুকুল,মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু প্রমুখ।