ভারতের সৌরযান আদিত্য এল-১ এর সফল উৎক্ষেপণ

0

লোকসমাজ ডেস্ক ।। একমাত্র জাতি হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফল অবতরণের ইতিহাস অর্জনের পর এবার সূর্যের দিকে পাড়ি জমাল ভারতের সৌরযান আদিত্য এল-১। শনিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় ভারতের প্রথম সৌরযান।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাকাশে যাওয়ার পর স্যাটেলাইটটি রকেটের থেকে ইতোমধ্যে আলাদা হয়ে গেছে। পরিকল্পনামাফিক ১৪৮০ কেজি ওজনের মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। পৃথিবীকে ডিম্বাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে আদিত্য এল-১।
আদিত্য এল-১ সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১ এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে যা পৃথিবী থেকে প্রায় দেড় মিলিয়ন কিমি দূরে অবস্থিত। এল-১ এর পৌছাঁতে ১২৫ দিন সময় লাগবে।
গণিতবিদ জোসেফ-লুই ল্যাগ্রেঞ্জের এই পয়েন্টটি আবিষ্কার করায় তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে। ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টগুলো মহাকাশের এমন জায়গা অবস্থিত যেখানে দুটি বস্তুর মধ্যে মহাকর্ষীয় শক্তি একে অপরকে এমনভাবে ভারসাম্য বজায় রাখে যাতে মহাকাশযান ন্যূনতম জ্বালানী খরচ করে একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকতে পারে।
সৌর পর্যবেক্ষণের জন্য ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টগুলোর মধ্যে এল-১ বিন্দুকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ভারত এই মিশনের নাম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা আদিত্য এর নামানুসারে দিয়েছে। আর এল-১ অর্থাৎ লাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট-১ সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থান যেখানে ভারতীয় মহাকাশযান স্থাপন করা হবে।
সুবিধাজনক এই অবস্থান থেকে আদিত্য এল-১ সূর্যকে আরও ভালভাবে দেখতে সক্ষম হবে। এমনকি সূর্যগ্রহণের সময় লুকায়িত বস্তুকণা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা আরও উন্নত গবেষণা করতে পারবেন। এসব গবেষণা বিজ্ঞানীদের সূর্য কীভাবে পৃথিবীতে তাপ দেয়, আলোকিত করে এবং মহাকাশের আবহাওয়ার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে সহায়তা করবে।
এই মিশনে কত খরচ হবে তা জানায়নি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে আনুমানিক ৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন রুপি খরচ হতে পারে।