শরণখোলায় বাইশ কিমি দীর্ঘ রায়েন্দা খালের কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে অপসারণের কাজ শুরু

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ও এর সংযোগ খালের কচুরিপানা স্বেচ্ছাশ্রমে অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটিতে আটকে থাকা কচুরিপানা অপসারণে ১০টি জায়গায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। গত শনিবার সকালে উপজেলার তালতলী এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কাজের উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলাকে নান্দনিক সাজে সজ্জিত করার লক্ষ্যে রায়েন্দা খান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। উপকূলীয় এই এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে। লবণাক্ততার কারণে পানযোগ্য পানির পাশাপাশি নিত্য ব্যবহার্য পানিরও তীব্র সংকট রয়েছে উপজেলাজুড়ে। দীর্ঘদিন ধরে খালের পানি দূষিত ও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। কচুরিপানা অপসারণে দীর্ঘ এই খালের সৌন্দর্যবর্ধনের সাথে এর পানি স্থানীয়দের ব্যবহার উপযোগী হবে।
স্থানীয় গ্রামগুলোর নারী-পুরুষ, ছাত্র-শিক্ষক, স্কাউট, আনসার-ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, এনজিও কর্মী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদসহ সর্বস্তরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই কচুরিপানা অপসারণ কাজে অংশ নিয়েছেন। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলার দীর্ঘতম রায়েন্দা খালটি প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ। বদ্ধ এই খালে আটকে যাওয়া কচুরিপানা এলাকার দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এ দুর্যোগ থেকে মুক্তি পেতে সর্বস্তরের মানুষের সাথে একাধিক বৈঠক করে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সবাইকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা অপসারণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আমিরুল আলম মিলন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এ কাজে সহযোগিতা করেছেন। প্রথম দিনেই কচুরিপানা অপসারণের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।