চৌগাছা- কোঁটচাদপুর সড়কে গর্ত

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছা- কোঁটচাদপুর সড়কে পিচ- ইট -খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। বৃষ্টির পানি জমে ওই সবগর্ত ক্রমশ বড় হচ্ছে। ভাঙ্গা স্থানে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। সড়ক নষ্ট হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন বিপাকে। দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মেরামতের দাবি পথচারীসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
চৌগাছা-কোঁটচাদপুর সড়কটি দুই উপজেলাবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চৌগাছাবাসী প্রয়োজনে ঝিনাইদাহ জেলা শহরসহ ওই অঞ্চলে যেতে হলে এই সড়কটি ব্যবহার করেন। অপরদিকে কোঁটচাদপুর উপজেলাবাসী সড়কটি ব্যবহার করে যশোর জেলা শহরসহ চৌগাছার প্রধান কাঁচাবাজরে ও পশুহাটে নিয়মিত আসা -যাওয়া করেন। সড়কের অন্তত চার কিলোমিটার জুড়ে থেমে থেমে ইট- পিচ- খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। নষ্ট হওয়া সড়কে চলাচলে সকলকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে, তারপরও ঘটছে দুর্ঘটনা।

বাস চালক রাজু আহমেদ বলেন, সড়কটির চৌগাছা অংশের বেশ কিছু স্থানে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গা সড়কের কারণে বাস চালাতে বেশ বেগ পেতে হয়।
পাতিবিলার ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, চোখের সামনে দেখতে দেখতে সড়কটি ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হলো। ভ্যানচালক জামাল হোসেন, ইজিবাইক চালক ইসমাইল হোসেন বলেন, সড়কটি যেভাবে ভেঙ্গেছে তাতে ছোটখাটো যান চলাচল চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারপরও সংসারের চাকা সচল রাখতে নিয়মিত সড়কে আসতে হচ্ছে।
সড়কের পাশে ভুষিমালের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই এই গর্তে পানি জমছে আর ট্রাক বা বাস গেলে ওই গর্তের পানি ছিটকে চলে আসছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। দ্রুতই সড়কটি মেরামতের দরকার।
সড়কটির পাশে অবস্থিত তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মনজুরুল আলম লিটু, আইপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী জানান, ভাঙ্গা সড়কের কারণে স্কুল- কলেজগামী ছেলে মেয়েদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী রিয়াসাত ইমতিয়াজ বলেন, চৌগাছার ঝিকরগাছা ও কোঁটচাদপুর সড়কটি নতুনভাবে মেরামতের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।