স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে সোমবার অজ্ঞাত পরিচয় (৪০) এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের হিন্দু পল্লী এলাকার বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক দেব দুলাল দত্ত জানান, যশোর-মণিরামপুর সড়ক সংলগ্ন ওই বাঁশ বাগানের মালিক সহাদেব দত্ত। সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে একই গ্রামের আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি পানের বরজের জন্যে বাঁশ কাটতে গিয়ে দুর্গন্ধ পান। এ সময় বাগানের ভেতর গিয়ে সেখানে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ, র‌্যাব ও পিবিআই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর বিকেলে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
ডিবি পুলিশের এসআই মো. মফিজুল ইসলাম জানান, অজ্ঞাত ওই যুবককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কয়েকদিন আগে তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া কারা কী জন্যে তাকে হত্যা করেছে সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের ইনসপেক্টর হিরন্ময় সরকার জানান, সপ্তাহ খানেক আগে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন । নিহত যুবকের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার চিহ্ন রয়েছে। তার পরনে কালো রঙের প্যান্ট, গায়ে গোল গলার টি-শার্ট এবং পায়ে বেল্টের কালো স্যান্ডেল ছিলো। তিনি বলেন, হাতের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু আঙ্গুলের চামড়া নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিচয় উদ্ধার করা যায়নি।
র‌্যাব-৬ সিপিসি- যশোর ক্যাম্পের এএসপি নাজমুল হক জানান, এক সপ্তাহ আগে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে তারাও ধারণা করছেন। নিহতের শরীরে পোকা ধরেছে। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে হাতের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু পচন ধরার কারণে আঙ্গুলের চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।