শার্শায় ঘন ঘন লোডশেডিং

0

মনিরুল ইসলাম মনি, শার্শা(যশোর)॥ যশোরের শার্শায় প্রচন্ড তাপ প্রবাহে ভেতর চরম আকারে লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিদিন দিনের বেলা সূর্যের তাপ প্রবাহ ও দিনে ও রাতে বার বার লোডশেডিংয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্র থমকে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে রোজাদারদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন অনা বৃষ্টির কারণে গরমে মানুষ কোথাও কোন শান্তি পাচ্ছে না। সারাদিন রোজা রেখে দিনে ও রাতে ৮/১০বার ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং চলছে। ইফতারের সময় , রাতে তারাবি নামাজের সময় লোডশেডিং হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এস এস সি পরীক্ষা। লোডশেডিংয়ের কারণে এস এসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে প্রচন্ড গরমের তীব্রতায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হতে পারছেনা। গরমের এই তীব্রতায়বেশি কষ্ট ও বিপাকে পড়েছে দিন মুজুর,খেটে খাওয়া মানুষ ও রিক্সা চালকেরা।
নাভারন বাজারের সার ব্যবসায়ী ফজর আলী বলেন, অনেকবার ১৪/১৫ ঘন্টা রোজা থাকলেও এমন কষ্ট হয়নি। তিনি বলেন, রোজার মাসে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না। প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে প্রচন্ড রোদে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ এর বিদ্যুতের চাহিদা ১৫১ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ হচ্ছে ১০৩ মেগাওয়াট। ঘাটতির পরিমাণ ৪৮ মেগাওয়াট।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যুতের ব্যাপারে কোন কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, এটা একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।