যশোরে চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন নিয়ে আদালতে পিটিশন

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে আদালতে পিটিশন করেছেন এক সদস্য।  বুধবার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোরের সিনিয়র সহকারী জজ সুজাতা আমিন বিবাদীদের এক কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে শুনানিতে অংশ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। পিটিশন আবেদন করেছেন মেসার্স পারভেজ ট্রেডার্সের মালিক মেহেদী হাসান। তার ভোটার নম্বর ৬৪২। আগমীকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানি শেষে পরবর্তী আদেশ দেয়া হতে পারে বলে আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে। এদিকে চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনের শেষ সময়ে আদালতে অনিয়ম অভিযোগ তোলার বিষয়টি একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা। এ বিষয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের অন্যতম প্রার্থী যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আলহাজ মিজানুর রহমান খান অনুরোধ জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, পিটিশনে যশোর চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক, নির্বাচন বোর্ডের আহবায়ক, দুই সদস্য এবং আলম ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ আলম, সরোয়ার ট্রেডার্সের মালিক গোলাম সরোয়ার, রহিম স্টোরের মালিক আব্দুর রহিম ও যশোর কর অঞ্চলের উপকর কমিশনারকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় তিন  শতাধিক ভোটারের হাল নাগাদ কোনো আয়কর সনদ নেই। তারা আয়কর সনদের মূল কপি দাখিল না করে বেআইনিভাবে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এসব অভিযোগ এনে নির্বাচন বোর্ড বরাবর অভিযোগ দিলে তা গ্রহণ না করায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে তিনি পিটিশনে উল্লেখ করেন। বাদির আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনের বিষয়ে নালিশি দরখাস্ত আদালতে আসায় বিচারক বিবাদিদের একদিনের মধ্যে শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য আদালত সমন জারি করেছেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানি হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে নির্বাচনে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের অন্যতম প্রার্থী যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আলহাজ মিজানুর রহমান খান বলেন, যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে প্রার্থীরা যখন মাঠে ময়দানে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত ঠিক সে সময়ে নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনে জিততে পারবে না এমনটা আভাস পেয়ে এখন ভোটগ্রহণ স্থগিতের গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। অথচ তারা যে অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তা সম্পূর্ণ বাণিজ্য সংগঠনের ম্যানুয়াল বহির্ভূত। এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে বলে মিজানুর রহমান খান বলেন। একই সাথে তিনি প্রার্থী ও ভোটারদের বিভ্রান্ত না হয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান। দীর্ঘ আট বছর পর আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে দুইটি প্যানেলে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি আলহাজ মিজানুর রহমান খান ও অপর প্যানেল ব্যবসায়ী অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন হুমায়ুন কবির কবু।