রাজগঞ্জে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ

0

 

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর)॥ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জসহ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে অবাধে দেশের ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের ৬ ইউনিয়নের হাট বাজারগুলোতে হাতুড়ে ডাক্তার ও কবিরাজের দৌরাত্ম ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ ডাক্তারি ও কবিরাজের পেশায় নিয়োজিত হয়ে চিকিৎসার নামে গ্রামের সহজসরল নারী পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে।
রাজগঞ্জ বাজারসহ ৬ ইউনিয়নের হাট বাজারগুলোতে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান। এলাকার এসব দোকান ও ফার্মেসিতে ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ বিক্রির পরিমাণ ও আশংকাজনক বেড়ে গেছে। অধিক মুনাফা অর্জনের আশায় এ সকল এলাকার ফার্মেসি মালিকরা বেনামি কোম্পানির ওষুধ সংরক্ষণ করছেন। পাশাপাশি হাট-বাজারের বিভিন্ন দোকানে হারবাল ওষুধ থেকে শুরু করে হোমিও, আয়ুর্বেদিক এবং অ্যালোপ্যাথিক ওষুধও বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ফার্মেসির মালিকরা ডাক্তার সেজে রোগীদের বেনামি কোম্পানির ওষুধ বেশি কার্যকর বলেও বোঝানোর চেষ্টা করেন। অসহায় রোগীরা উপায়ান্ত না পেয়ে খুব কম মূল্যে দেখে আকৃষ্ট হয়ে এসব নিম্নমানের ওষুধ ক্রয় প্রতারিত হয়। ফলে ওইসব ওষুধ ব্যবহার করে রোগমুক্তি তো দূরের কথা এলাকার গরীব অসহায় রোগীগুলো আরও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরপথে পতিত হচ্ছে। রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে গড়ে ওঠা একটি কথিত আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানে চিকিৎসা নিতে আসা হানুয়ার গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৫০) ও খালিয়া গ্রামের আকবার হোসেন জানান, বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তারের সাইনবোর্ড দেখে এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছিলাম। অনেক টাকা খরচ করে বেশ কিছুদিন নানা রোগের চিকিৎসাও নিয়েছি। কিন্তুু রোগ সারা তো দূরের কথা আরো অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসা নিতে আসা এ দুই রোগি।