তীব্র সমালোচনার মুখে অধ্যাপক প্রশান্ত

0

 

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন তৈরি করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঝিনাইদহের কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রশান্ত জেলার মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া ডা. সাইফুল ইসলাম কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজরা খানা গ্রামের মৃত দুলাল চন্দ্রপালের ছেলে। কলেজের অধ্যক্ষ বলায় চন্দ্র পাল খবরের সত্যতা নিশ্চত করে জানান, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ভাইরাল ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টির পর তিনি ঘটনাটি প্রথম জানতে পারেন। এরপর দেশের নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক তার কাছে ফোন আসতে থাকে। অধ্যক্ষ বলেন, মঙ্গলবার সকালে শিক্ষক প্রশান্ত কুমার সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন তৈরির জন্যে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে ফোন করেন। তিনি তাকে জানিয়েছেন, ঢাকা বোর্ডে তিনি একটি সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন। সেটি মনোনীত হয়ে প্রশ্নের ১১ নং ক্রমিকে স্থান পেয়েছে। তার করা প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরি হওয়ায় তিনি মর্মাহত হয়েছেন। এরপর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ এমনকি বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না। অধ্যক্ষ বলায় চন্দ্র পাল বলেন, এখন শিক্ষা বোর্ড বা মন্ত্রণালয় যে শাস্তির নির্দেশনা প্রদান করবে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব বলেন, এ জাতীয় প্রশ্ন যারা করেছেন তারা জঘন্য কাজ করেছেন। এতে কারো দ্বিমত থাকার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, প্রশান্ত কুমার একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক। তার ২২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়া তার লেখা বেশ কিছু বইও আছে। সে কারণে তিনি হয়তো জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যে মডারেটর প্রশ্ন করেন, সেই প্রশ্ন আমাদের দেখার কোন সুযোগ নেই। কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে তারাই আবার সংশোধন করে সিলগালাসহ বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেন। ফলে দায়ভার বোর্ডের নয়। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। মুসলমানের কাছে জমি বিক্রি করে দেশ ত্যাগ করছে এমন তথ্য সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে। তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধ বাড়ানো। ধর্মে-ধর্মে সহিষ্ণুতা বাড়াতে কাজ করা।’ প্রশ্ন তৈরি করার ক্ষেত্রে অনেক চিন্তা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।