জেলা পরিষদের নির্বাচন আজ আ.লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ সোমবার যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচন  অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনেকটা একতরফা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে জনমনে তেমন কোনো আগ্রহ না থাকলেও পরোক্ষ ভোট নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ রয়েছে। ফলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী যে আওয়ামী লীগ এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের একটি পদ, ৮টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং তিনটি সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ড সদস্যসহ মোট ১২টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে দুইজনসহ মোট ৫১ প্রার্থী রয়েছেন।
৮ উপজেলার ১৬টি ভোট কেন্দ্রে এক হাজার ৩১৯ ভোটার ভোটাধিকার তাদের ভোঠাধিকার প্রয়োগ করবেন। এজন্য আটজন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩২ জন পোলিং অফিসার, ৫৬ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। যশোর সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে যশোর কালেক্টরেট স্কুলে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান পিকুল রয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিকল্প ধারার মারুফ হোসেন কাজল আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থী হলেও জয়ের ব্যাপারে মূল আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান পিকুল।
সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়ায় নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান। নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ছাড়াও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। যে কারণে একদলীয় এ নির্বাচন এ পর্যন্ত কোনো উত্তাপ ছড়াতে পারেনি। এ নির্বাচনের জয় পরাজয় নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে কোনো আগ্রহ নেই বললে চলে।
এই বিষয়ে জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, যশোর জেলা পরিষদের নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কেন্দ্র ও তার আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বাত্মক দায়িত্ব পালন করবে বলে তিনি জানান।