জীবননগরে প্রতিবন্ধী আত্মহত্যা

0

জীবননগর(চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা আশতলাপাড়ায় আলেয়া বেগম(৫৫) নামের এক মানষিক প্রতিবন্ধী গৃহবধূ নিজের গলা ধারালো বটি দিয়ে কেটে আত্মহত্যা
করেছেন। ঘটনাটি সোমবার সকালে গৃহবধূর পিতার বাড়িতে ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ঘটনাটি নিয়ে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়,জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
সদ্য অবসরপ্রাপ্ত স্টোর কিপার আশতলাপাড়া গ্রামের সামসুল ইসলামের স্ত্রী আলেয়া বেগম(৫৫) দীর্ঘদিন ধরে মানষিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন। তাকে পরিবারের পক্ষ সুস্থ করে তুলতে বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে কখনই পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। এ
অবস্থায় গৃহবধূ আলেয়া বেগম কয়েক দিন আগে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামে তার পিতার বাড়িতে যান।
গৃহবধূ আলেয়া বেগম পদ্মপুকুরে অবস্থান করা কালে সোমবার ভোরের দিকে ধারালো
বটি দিয়ে তার গলার দু’পাশে পোঁচ দিয়ে নিজেকে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে
পরিবারের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে জীবননগর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা চালিয়ে
যাওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে আলেয়া বেগম মারা যান।
তবে নিহত গৃহবধূর গলার দু’পাশে কেটে স্বাভাবিক থাকার বিষয়টি নিয়ে এলাকায়
নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের কাছে ব্যাপারটি রহস্যজনক মনে হয়েছে।
জীবননগর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান সুজন
বলেন,গৃহবধূ আলেয়ার গলার দু’পাশে বড় ধরনের জখম হওয়ায় অতিরিক্ত রক্ত
ক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে পরিবারের
পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনাটি
জীবননগর থানা পুলিশের মধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থল পদ্মপুকুর গ্রামে
পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে।